গত আগস্ট মাসে ক্ষমতার পরিবর্তন হয় আফগানিস্তানের। সেদেশে তালিবানরা ক্ষমতায় আসার পর ঘোষণা করেছিল যে, কোনওরকম হিংসাত্মক শাসনকার্য তারা চালাবে না। তাদের সম্পূর্ণ অন্য রূপে গোটা বিশ্ব দেখবে।
যদিও তার কোনও নমুনা এখনও সেই অর্থে পাওয়া যায়নি। গোটা দেশজুড়ে এক সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হয়। পাশাপাশি খাদ্য সংকট দেখা দেয়। এই পরিস্থিতে আফগানদের পাশে দাঁড়াতে নরেন্দ্র মোদি সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেদেশে গম পৌঁছে দেওয়া হবে।
কিন্তু গোটা দেশের জন্য যে পরিমাণ গম প্রয়োজন, তা আকাশপথে পাঠানো সম্ভব নয়। তার জন্য পাকিস্তানের সড়কপথ ব্যবহার করতে হবে। এই ব্যাপারে মোদি সরকার পাকিস্তানের কাছে অনুমতি চেয়েছিল। বেশ কিছুদিন বিষয়টি নিয়ে ঝুলিয়ে রাখার পর অবশেষে সেই প্রস্তাবে সায় দিয়েছে ইসলামাবাদ।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দফতর টুইট করে জানিয়েছে, আফগানিস্তানে গম পাঠানোর জন্য দিল্লির সিদ্ধান্তে ছাড়পত্র দিতে আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছেন, বিষয়টি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিচার করে কীভাবে বাস্তবায়িত করা হবে, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেই এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ইসলামাবাদ।
কয়েকদিন আগে ইমান খানের সঙ্গে আফগানিস্তানের তালিব বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সাক্ষাৎ হয়। গম পৌঁছনোর বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়। সেখানেই পাক পধানমন্ত্রী সবুজ সঙ্কেত দেয় বলে জানা যায়। ইমরানের দফতর জানিয়েছে, আফগানিস্তানের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাস মোকাবিলা, আফগানিস্তানবাসীর অধিকার, সরকার পরিচালনার মতো বিষয়গুলি নিয়ে তালিবানের সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে ভয়াবহ খাদ্যসঙ্কটের সম্ভাবনার কথা আগেই জানিয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ। ইউএন ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম-এর আধিকারিকদের আশঙ্কা, এখনই উপযুক্ত পদক্ষেপ না করলে আফগানিস্তানের প্রায় ৫৫ শতাংশ মানুষকে এই শীতের মরসুম থেকেই অনাহারে দিন কাটাতে হতে পারে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।