

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। দীর্ঘ ৫৬ বছর পর হলদিবাড়ি বাংলাদেশ চিলাহাটি রেলরুটে ভারত থেকে প্রথমবারের মত ৪০টি ওয়াগন নিয়ে ছুটল পণ্যবাহী একটি মালগাড়ী। যার সাক্ষী থাকলো এপার বাংলা ওপার বাংলার হাজার হাজার মানুষ। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে পুনরায় দুই বাংলার মধ্যে এই রুটে রেল যোগাযোগ চালু হওয়ায় খুশি দুই বাংলার মানুষ।
রবিবার সকালে ডামডিম স্টেশন থেকে ৫৯টি ওয়াগনে পাথর বোঝাই করে একটি ট্রেন এনজেপি, জলপাইগুড়ি হয়ে সকাল ১১ টার দিকে হলদিবাড়ি স্টেশনে এসে পৌঁছায়।এরপর হলদিবাড়ি স্টেশনে কাগজপত্র পরীক্ষার পর বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ আন্তর্জাতিক সীমান্তের গেট পার করে ৪০টি ওয়াগন ও একটি ব্রেক ভ্যান নিয়ে বাংলাদেশের চিলাহাটি স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ট্রেনটি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে হলদিবাড়ি চিলাহাটি লিঙ্ক রুটে ট্রেন চলাচলের বিষয়ে সম্মত হন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। এই রুট নিয়ে বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে মোট পাঁচটি লিঙ্ক রেল রুট চালু হল।
প্রায় ৫৫ বছর আগে এই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছিলো। ১৭ ডিসেম্বর ফের ট্রেন চলাচল শুরুর সিদ্ধান্ত হওয়ার পর বাংলাদেশের চিলাহাটি থেকে একটি মালগাড়ী হলদিবাড়ি আসে।
ভারতীয় রেলের নর্থ ইষ্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের সূত্র অনুসারে ১৯৪৭ সালে পার্টিশন-এর পরেও দুই দেশের মধ্যে ১৯৬৫ পর্যন্ত ৭টি রেলওয়ে লিঙ্ক রুট চালু ছিলো। বর্তমানে তার মধ্যে পেট্রাপোল-বেনাপোল, গেদে-দর্শনা, সিংহাবাদ-রোহনপুর এবং রাধিকাপুর-বিরোল রেল রুট চালু আছে। হলদিবাড়ি চিলাহাটি রুট চালু হওয়ার বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে পাঁচটি রুট চালু হল।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন