হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্তের রাস্তায় বিক্ষোভ দেখালেন কয়েক হাজার ট্রেড ইউনিয়ন কর্মী এবং অসামরিক ব্যক্তিরা। দেশজুড়ে শুরু হওয়া শিক্ষক ধর্মঘটের সমর্থনে, ধর্মঘটের অধিকার ফেরানোর দাবিতে এবং বেতন বৃদ্ধির দাবিতে পার্লামেন্টের সামনে কোসুথ স্কোয়ারে এক বিক্ষোভের আয়োজন করে বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন। গত ১৬ মার্চ থেকে ধর্মঘট শুরু করেছেন শিক্ষকরা।
শনিবার নিজেদের দাবি নিয়ে কোসুথ স্কোয়ারে জমায়েত হন ১০ হাজারের বেশি শিক্ষক। জমায়েতে উল্লেখযোগ্য ভাবে অংশ নিয়েছিলেন ছাত্ররা। জিংহুয়া সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুসারে এঁরা অনেকেই প্লেইড শার্ট পরে ছিলেন, যা গত কয়েক বছরে শিক্ষকদের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল ‘স্বল্প বেতন সত্ত্বেও আমরা শিক্ষাদান চালিয়ে যাচ্ছি’, ‘শিক্ষক ছাড়া ভবিষ্যৎ নেই’, ‘আগামীকাল কে পড়াবে?’ জাতীয় শ্লোগান লেখা অসংখ্য ব্যানার ও হোরডিং। প্রসঙ্গত, শিক্ষকরা বছরের পর বছর ধরে সরকারের কাছে অবিলম্বে বেতন বৃদ্ধি ও কাজের চাপ কমানোর দাবি জানিয়ে আসছেন।
গত ১৬ মার্চ, সরকার এবং ট্রেড ইউনিয়নের মধ্যে কয়েক মাস নিস্ফল আলোচনার পর বুদাপেস্ট এবং হাঙ্গেরির প্রধান প্রধান শহরের স্কুলগুলিতে ধর্মঘট অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষকরা বেতন বৃদ্ধি, তাদের বাধ্যতামূলক কাজের সময় কমানো এবং বিদ্যালয়ে কর্মরত অশিক্ষক কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়।
গত ৩১ জানুয়ারী এক প্রতীকী ধর্মঘটের দু’সপ্তাহ পর এক সরকারী ডিক্রি জারি করে শিক্ষকদের ধর্মঘটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়।
জিংহুয়া সংবাদসংস্থাকে ১৮ বছর বয়সী ছাত্র পিটার লিজটেস বলেন, "শিক্ষকদের ক্ষোভের কারণ সঙ্গত। কারণ সরকার তাঁদের জন্য আরও সম্মানের সঙ্গে আলোচনা এবং সমঝোতার পরিবর্তে তাঁদের কাছ থেকে ধর্মঘটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
স্থানীয় ওয়েবসাইট hrportal.hu-র রিপোর্ট অনুযায়ী, হাঙ্গেরিতে শিক্ষকদের বেতন খুবই কম, প্রতি মাসে প্রায় ২০৭০০০ ফরিন্ট নেট বা ৬১৩ আমেরিকান ডলার।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।