

আফগানিস্তানে রেষারেষি থেকে এবার চরমে উঠল অভ্যন্তরীণ তালিবানি সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী মোল্লা বরাদর এবং হক্কানি জঙ্গিগোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব। বরাদরকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, কানাঘুষো এও শোনা যাচ্ছে যে তালিবানি নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার মৃত্যু হয়েছে। এমনটাই দাবি করেছে ব্রিটিশ ম্যাগাজিন দ্য স্পেক্টেটর।
দ্য স্পেক্টেটরে বলা হয়, গত ১৫ অগস্ট কাবুলের পতন হয়। তালিবান এবং হক্কানি জঙ্গিগোষ্ঠীর মধ্যে তখন থেকেই ক্ষমতা দখলের লড়াই চলছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে বরাদর গোষ্ঠী এবং হক্কানি গোষ্ঠীর মধ্যে আফগানিস্তানে সরকার গঠন নিয়ে সংঘর্ষ হয়। হক্কানি গোষ্ঠীর পক্ষে আছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই।
এদিকে ওই ম্যাগাজিনে বরাদরকে ‘প্রধান অভাগা’ বলে কটাক্ষ করেছিল হক্কানি নেটওয়ার্ক। বৈঠক চলাকালীন হক্কানি জঙ্গিগোষ্ঠীর খালিল-উল-রহমান বরাদরকে ঘুষি মারে। তারপর বেশ কয়েকদিন কোনও খোঁজ মেলেনি বরাদরের। পরে কান্দাহারে দেখা যায় তাঁকে। বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি তালিবান নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করতে বাধ্য হয়। তাতে তাঁকে ‘বন্দি করে রাখার ভিডিওর মতো মনে হচ্ছে’ বলে ম্যাগাজিনের দাবি।
আখুন্দজাদার বিষয়ে দ্য স্পেক্টেটরে দাবি ‘কয়েকদিন ধরে তাকে দেখা যায়নি বা তার গলা শোনা যায়নি। কয়েকটা মহল থেকে জল্পনা ছড়িয়েছে যে আখুন্দজাদার মৃত্যু হয়েছে।’
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন