নয়াদিল্লি, ৬ মার্চ: আমেরিকার ফ্রিডম হাউজ রিপোর্ট দাবি করেছে, ভারত আসলে সঠিক 'স্বাধীন' নয় 'আংশিক স্বাধীন'। যদিও এই দাবিকে সম্পূর্ণ 'ভ্রান্ত, বিভ্রান্তিকর' বলে দাবি করেছে কেন্দ্র সরকার। এই দাবির তীব্র বিরোধিতা করে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের মতো দেশে এমন অনেক রাজ্য রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় রয়েছে। স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে স্বাধীন নির্বাচনী সংস্থা এই নির্বাচন করিয়ে থাকে। আর এর মাধ্যমেই সহজেই বোঝা যায় যে, গণতান্ত্রিক উপায়ে সকলকেই সকলের মতো করে অবস্থান নেওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে ভারতে।
কেন্দ্রের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সাংবিধানিক দেশ হিসেবে ভারত সরকার সকল নাগরিকের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা দেয় এবং কোনও বৈষম্য না রেখে সমস্ত আইন সমানভাবে প্রযোজ্য করে। যদিও উস্কানিমূলক মন্তব্য বা কাজ যাতে কোনওরকমভাবে মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে, তাও দেখা হয়। লকডাউনের সমালোচনা করে সংস্থার তরফে যে মন্তব্য করা হয়েছে, তার উত্তর দিতে গিয়ে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, গণসমাবেশের কারণে দেশজুড়ে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল। আর সেই কারণে বিশ্বের পরিস্থিতি বুঝে ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া আটকাতে বিভিন্ন জায়গায় কনটেনমেন্ট জোন করে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউনের ফলে সবথেকে খারাপ অবস্থা যে জায়গাগুলোর ছিল, সরকার সেখানে বিভিন্ন পদক্ষেপ করে মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতই এমন একটি রাষ্ট্র, যেখানে কোভিড ১৯ ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার হার সবথেকে কম।
ফ্রিডম হাউজের রিপোর্টে- শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলে দাবি করা হলে, তার পালটা হিসেবে কেন্ত্রের তরফে জানানো হয়েছে, সংবিধানের ১৯ নং ধারা অনুসারে স্বাধীনতার সমস্ত অধিকার দেওয়া হয় দেশের নাগরিকদের।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।