পেগাসাসের সাহায্যে ফোনে আড়িপাতার তীব্র নিন্দা EU কমিশনারের, শাস্তি দিতে আইন তৈরির দাবি
পেগাসাস স্পাইওয়্যার কেলেঙ্কারির পর ইইউ-র উচিত সমাজকর্মী, সাংবাদিক ও রাজনীতিকদের অধিকার রক্ষায় অবিলম্বে আইন প্রণয়ন করা এবং বেআইনি ট্যাপিং যাঁরা করছে তাঁদের শাস্তি দেওয়া। ইইউ-এর জাস্টিস কমিশনার দিদিয়ের রেইনডারস ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে একথা বলেছেন। দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।
রেইনডারস পার্লামেন্টের সদস্যদের বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক বিরোধীদের ফোনে আড়ি পেতে বেআইনিভাবে তথ্য সংগ্রহ করার যে অভিযোগ উঠছে, তার পূর্ণ নিন্দা করছে ইউরোপীয় কমিশন। তিনি বলেন, 'যদি সত্যিই এ ধরনের ঘটনার ইঙ্গিত পাওয়া যায় তবে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। এটা ইইউ-র প্রত্যেক সদস্য দেশের অবশ্য কর্তব্য।' তাঁর আশা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগের সঠিক তদন্ত করে পেগাসাসের ওপরে আস্থা ফিরিয়ে আনবে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রেইনডারস জানিয়েছেন, হাঙ্গেরির অতি-দক্ষিণপন্থী সরকার সাংবাদিক, সংবাদ সংস্থার মালিক এবং বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করছে, এই অভিযোগের তদন্তের দিকে নজর রাখছে ইইউ-র কার্যনির্বাহী শাখা।
রেইন্ডারস আরও জানিয়েছেন, অনেক জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থাই রাজনৈতিক বিরোধী, সাংবাদিক সহ নাগরিকদের তথ্য জানতে পেগাসাস ব্যবহার করে, এই সংক্রান্ত একাধিক রিপোর্ট রয়েছে। কমিশন এই ধরনের বেআইনি আড়িপাতার তীব্র নিন্দা করে। এটা গোটা ইউরোপীয় ইউনিয়নেই অপরাধ বলে গণ্য করা হয়।
SUPPORT PEOPLE'S REPORTER
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

