দুই কোরিয়ার মধ্যে আবারও স্থাপিত হল সরাসরি যোগাযোগ

দক্ষিণ ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সোমবার থেকে পুনরায় সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে অচলাবস্থার মধ্যে থেমে থাকা আলোচনা আবার শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি ছবি সৌজন্য - দ্য কুইন্ট
Published on

দক্ষিণ ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সোমবার থেকে পুনরায় সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে অচলাবস্থার মধ্যে থেমে থাকা আলোচনা আবার শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

দক্ষিণ কোরীয় আধিকারিককে উদ্ধৃত করে ইয়নহ্যাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে একটি সামরিক হটলাইন এবং একটি পৃথক যৌথ লিয়াজোঁ অফিস চ্যানেল ছিল।

সোমবার উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ মাধ্যম ঘোষণা করে এদিন সকাল ন'টা থেকে সংযোগ আবার স্বাভাবিক হবে।

গত বছর, উত্তর কোরিয়া তার সীমান্ত শহর কেসঙে একটি লিয়াজোঁ অফিস উড়িয়ে দেয় এবং আন্তঃ কোরীয় সংযোগ একতরফা বনধ করে দেয় । দক্ষিণ কোরিয়া থেকে পিয়ংইয়ং বিরোধী প্রচারপত্র ছড়ানোয় ক্ষুব্ধ হয়ে এই পদক্ষেপ নেয় তারা।

গত জুলাইতে সাময়িকভাবে হটলাইন স্থাপিত হলেও আমেরিকার সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার বাৎসরিক সামরিক মহড়ার প্রতিবাদে তা আবার বন্ধ করে দেয় উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়া দীর্ঘদিন ধরেই এই যৌথ অনুশীলন অভিযান চালানোর মহড়া বন্ধ করার কথা বলে আসছে।

সোমবার দক্ষিণ কোরিয়া আন্তঃকোরীয় আলাপ আবার শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে।

একীকরণ মন্ত্রক একটি বিবৃতিতে বলেছে যোগাযোগ পুনঃস্থাপিত হওয়াকে দুই কোরিয়ার সম্পর্ককে ঠিক পথে ফেরানোর ভিত্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

যোগাযোগের স্থায়ী বন্দোবস্ত এবং দ্রুত আলোচনা শুরুর মাধ্যমে সরকার আন্তঃকোরীয় সম্পর্কের উন্নতিতে ফলপ্রসূ আলোচনা শুরু এবং তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে বলে আশা করে। যাতে কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি স্থাপিত হয় এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তি রূপায়িত হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকও আশা প্রকাশ করে বলেছে হটলাইন চালু হওয়ায় উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক উত্তেজনা কমবে।

মন্ত্রক আরও জানিয়েছে দুদেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ওয়েস্টার্ন এবং ইস্টার্ণ স্বাভাবিকভাবে কাজ করলেও পিয়ংইয়ং জাহাজ থেকে জাহাজে যাতে গ্লোবাল মার্চেন্ট মেরিন কমিউনিকেশন ব্যবহার করা হয় তাতে দক্ষিণের কলে সাড়া দেয়নি।

পিয়ংইয়ংয়ের সরকারি কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে,দক্ষিণ কোরিয়ার উচিত উত্তর-দক্ষিণ মৈত্রীকে ঠিক পথে ফেরাতে ইতিবাচক পদক্ষেও নেওয়া এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনঃস্থাপনের অর্থ গভীরভাবে বুঝে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির মীমাংসা করা।

গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন অক্টোবরের গোড়াতেই সংযোগ পুনঃস্থাপনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, গোটা কোরিয়া চায় দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক যত শীঘ্র সম্ভব স্থাপিত হোক এবং কোরীয় উপদ্বীপে দীর্ঘ শান্তি বজায় থাকুক। সেই ইচ্ছাপূরণেই সংযোগ ফিরিয়ে আনা হবে।

তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন এখন দক্ষিণ কোরিয়া ঠিক করবে কবে তারা ভবিষ্যৎ পন্থা ঠিক করবে।

গত মাসে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন ১৯৫০-৫৩ কোরিয়ান যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণার প্রস্তাব দেন।

উত্তর কোরিয়া ওই প্রস্তাবকে বলে প্রশংসাযোগ্য ধারণা। তারা বলে উত্তর কোরিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নতি করতে আলোনায় ইচ্ছুক। তবে সিওলকে প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র পরীক্ষার প্রতি দুমুখো নীতি এবং উত্তরের প্রতি প্রতিহিংসার মনোভাব ত্যাগ করতে হবে।

একীকরণ মন্ত্রী লী ইন-ইয়ুং রবিবার সাংবাদিকদের বলেন বছর শেষের আগেই দক্ষিণ কোরিয়া উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজনের চেষ্টা করবে।

- with inputs from IANS

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in