আফগানিস্তানে এক মাস আগে তালিবানরা ক্ষমতায় আসার পর থেকে ত্রাণকাজ বাড়ছে কিন্তু সামান্য সংখ্যক মানুষেরই যথেষ্ট খাবার আছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের এক মুখপাত্র এ কথা জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের প্রধান মুখপাত্র স্তেফানে দুয়ারিক জানিয়েছেন, রাষ্ট্রসঙ্ঘের ত্রাণ নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই বিমান পাঠানো হচ্ছে কাবুল সহ বিভিন্ন প্রদেশে। বেশ কিছু বছর পরে এই প্রথম রাষ্ট্রসঙ্ঘ ক্রস-কান্ট্রি সড়ক পরিবহন শুরু হয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে আফগানিস্তানে মাত্র ৫ শতাংশ পরিবারের প্রতিদিন খাবার মতো যথেষ্ট খাদ্যের ব্যবস্থা আছে। সমীক্ষকদের বক্তব্য, কর্মহীনতা, হাতে নগদ অর্থের অভাব এবং খাদ্যদ্রব্যের আকাশছোঁয়া দাম আফগানিস্তানে ক্ষুধার্ত মানুষের একটি নতুন শ্রেণি তৈরি করেছে।
আফগানিস্তানে ত্রাণ ও উন্নয়ন কাজের জন্য ১.২বিলিয়ন ডলারের বেশি দানের প্রতিশ্রুতির কথা অর্থদাতাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন দুয়ারিক। তবে এবছরের জন্য প্রয়োজনীয় ৬০৬ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে মাত্র ২০ শতাংশ বা ১২১ মিলিয়ন ডলার পাওয়া গেছে এ পর্যন্ত।
মুখপাত্র বলেছেন, শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজ হয় না, চাই নগদ অর্থ। খাদ্য, ওষুধ, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং সুরক্ষা সহ জীবনদায়ী সহায়তা দেওয়া হচ্ছে তাদেরই যাদের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি।
ত্রাণ কাজের বিবরণ দিতে গিয়ে দুয়ারিক জানিয়েছেন,
খাদ্য ও কৃষি সংস্থা সেপ্টেম্বর-অক্টোবর শীতকালীন গমচাষের জন্য ১ লক্ষ ৭০ হাজারেরও বেশি অতি দরিদ্র পরিবারগুলিকে ৮ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন গমের বীজ দিচ্ছে। নানগহর প্রদেশে বিপর্যয়-ঝুঁকির মোকাবিলায় রাস্তা এবং অন্যান্য পরিকাঠামো নির্মাণে সাহায্য করছে পরিযায়ীদের জন্য আন্তর্জাতিক সংগঠন।
মুখপাত্র বলেছেন হেরাট প্রদেশে এক হাসপাতালে প্রায় ১৫০০টি সাধারণ ও সার্জিক্যাল কেসে প্রয়োজনীয় সাহায্য করছে ইউএন পপুলেশন ফান্ড।রাষ্ট্রসঙ্ঘের উদ্বাস্তু সংগঠন খোস্ত প্রদেশে রাস্তা তৈরি সহ সংঘাতে ঘরছাড়াদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বাড়িয়েছে।
দুয়ারিক বলেছেন, ত্রাণকাজে শুধু পরিষেবার উন্নতি হবে তাই নয়,বাজারের কাজকর্ম ও কর্মসংস্থান বাড়বে।
-With IANS Inputs
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।