২০২৪ সালে অর্থনীতিতে যৌথভাবে নোবেল পাচ্ছেন তিন অর্থনীতিবিদ - ডারন অ্যাসেমোগ্লু, সাইমন জনসন এবং জেমস এ রবিনসন। সোমবার রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকডেমি অব সায়েন্সেস অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে এই তিনজনের নাম ঘোষণা করল।
১৯৬৭ সালে তুরস্কে জন্ম ড্যারন আ্যকমোগলুর। তিনি মূলত তুর্কির ইস্তাম্বুল শহরের বাসিন্দা। ১৯৯৩ সাল থেকে তিনি আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে অধ্যাপনা করেন। অন্যদিকে, ১৯৬৩ সালে জন্ম সিমন জনসনের। তিনি ইংল্যান্ডের শেফিল্ডের বাসিন্দা। তিনিও একই প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক। আর ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ, জেমস এ. রবিনসন বর্তমানে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন।
অ্যাকাডেমির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “কীভাবে সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলি গঠিত হয় এবং তা সমৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে” - এই বিষয়ে তিন অর্থনীতিবিদের গবেষণাকে স্বীকৃতি জানানো হয়েছে।
এক বিবৃতিতে নোবেল কমিটি জানিয়েছে, যে সমাজে আইনের শাসন দুর্বল, সেখানে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলি সাধারণ মানুষকে শোষণ করে। সেই সমাজ কখনও সমৃদ্ধ হতে পারে না। এমনকী উন্নতির জন্য নিজেকে পরিবর্তন করতেও সক্ষম নয়। নিজেদের গবেষণায় এই বিষয়টিকেই তুলে ধরেছেন ড্যারন আ্যকমোগলু, সিমন জনসন এবং জেমস রবিনসন।
নোবেল পুরস্কার কমিটি বিশদে জানিয়েছে, ইউরোপীয়রা বিশ্বের নানা দেশে নিজেদের উপনিবেশ বিস্তার করেছিল। দেখা গেছে, যে উপনিবেশগুলি সেইসময় সমৃদ্ধ ছিল, সেগুলি এখন দরিদ্র; আর যে উপনিবেশগুলিতে সেইসময় দরিদ্র ছিল, তারা বর্তমানে সমৃদ্ধ। সমাজে সম্পদের বণ্টন কী ভাবে হচ্ছে, কাদের হাতে শাসন ব্যবস্থা - এইসবের উপর এটা নির্ভরশীল। গবেষণাতে সেই বিষয়টি বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। প্রাথমিক ভাবে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা, শান্তি ও সাহিত্য ক্ষেত্রে দেওয়া হত নোবেল। পরবর্তীতে ১৯৬৯ সাল থেকে অর্থনীতি ক্ষেত্রেও নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া অর্থে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
আগামী ১০ ডিসেম্বর স্টকহোম সিটি হলে নোবেল বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হবে। উল্লেখ্য, ওই দিনই আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকী। প্রতিবছর তাঁর মৃত্যু বার্ষিকীতেই পুরস্কার বিরতণী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন