ক্রমেই বেড়ে চলেছে করোনার প্রকোপ। বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য এবার সরাসরি সম্পূর্ণ লকডাউনের পথেই হাঁটল পড়শি দেশ। কোনরকম ঝুঁকি নিতে চায় না পড়শি দেশের প্রশাসন। সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য সম্পূর্ণ লকডাউন চালু হচ্ছে বাংলাদেশে। তবে অর্থনীতি যাতে থমকে না যায় সেই দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছেন হাসিনা সরকার। আগের মতোই কলকারখানা ও জরুরি পরিষেবা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বাংলাদেশে লকডাউনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন সে দেশের সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন- “জরুরি পরিষেবা ও কল কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা হবে”। প্রসঙ্গত, প্রতি ২৪ ঘন্টায় বাংলাদেশে করোনা রোগীর মৃত্যু সংখ্যা গড়ে ৫০ জন। এক সময় এই গড় ১০ এর নিচে নেমে গিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি মৃত্যু হার বাড়ায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বাংলাদেশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৯ হাজার অতিক্রম করেছে। গত বছর মার্চ থেকে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের ৬ লক্ষ ২৪ হাজার ৫৯৪ জন নাগরিক কোভিডে সংক্রমিত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আমেরিকার জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটি।
এদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে ভারতেও। একদিনে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল ৮৯ হাজার। গত বছর ২০ সেপ্টেম্বরের পর এই প্রথম দেশে দৈনিক সংক্রমণ এই পর্যায়ে পৌঁছাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৮৯ হাজার ১২৯, গতকাল যা ছিল সাড়ে ৮১ হাজারের কাছাকাছি। আজকের পরিসংখ্যান নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ২৩ লক্ষ ৯২ হাজার ২৬০। ২৪ ঘন্টায় দেশে মারা গেছেন ৭১৪ জন, গতকাল যা ছিল ৪৬৯। এখনও পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ১১০ জনের। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা মহারাষ্ট্রে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে ইঙ্গিত দিয়েছেন শীঘ্রই লকডাউন জারি হতে পারে সে রাজ্যে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।