তৃতীয় সন্তানের জন্ম দিতে ছাড়পত্র চিনের

এবার কড়াকড়ি কমিয়ে ৩ সন্তানের নীতিকে অনুমোদন দিল চিনের কমিউনিস্ট সরকার। চিনের প্রধানমন্ত্রী শি জিনপিং একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করার পর জানিয়েছেন, এ বার চিনের দম্পতিরা তিন সন্তানের পিতা-মাতা হতে পারবেন
ছবি প্রতীকী
ছবি প্রতীকীচায়না ডট ওআরজি-র সৌজন্যে
Published on

দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এক সন্তানের নীতি ভেঙে ২০০৯ সালে দুই সন্তানের নীতিতে ছাড়পত্র দিয়েছিল চিন। এ বার কড়াকড়ি কমিয়ে ৩ সন্তানের নীতিকে অনুমোদন দিল চিনের কমিউনিস্ট সরকার। চিনের প্রধানমন্ত্রী শি জিনপিং একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করার পর জানিয়েছেন, এ বার চিনের দম্পতিরা তিন সন্তানের পিতা-মাতা হতে পারবেন।

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হল চিন। কিন্তু সে দেশের সাম্প্রতিক প্রকাশিত জনসংখ্যার রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে মারাত্মক হারে কমেছে জন্মহার। উল্টে বেড়েছে গড় বয়স। অর্থাৎ চিনের একটা বড় অংশের বয়স বেশি। সাম্প্রতিক জনসংখ্যার পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে গত দশকে বিশ্বের সবচেয়ে কম জন্মহার ছিল চিনের। ২০১০ থেকে পরবর্তী ১০ বছরে সে দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অত্যন্ত কম। ২০২০ সালে চিনে যতজন শিশু জন্ম নিয়েছে তা বিগত বছরগুলির তুলনায় কয়েকগুণ কম।

তাই জন্মহার ঠিক করতেই এই সিদ্ধান্ত জিনপিংয়ে। সিপিসি প্রধানের এই সিদ্ধান্তের কথা ইতিমধ্যেই চিনের সংবাদ মাধ্যম জিনহুয়াতে প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৭০ সালে জনসংখ্যায় লাগাম টানতে ১ সন্তান নীতি ধার্য করেছিল চিন। এরপর জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আসার পর নির্দিষ্ট দম্পতিকে ২ সন্তানে ছাড়পত্র দিত চিনা প্রশাসন। এ বার ৩ সন্তানেও ছাড়পত্র দিচ্ছে জিনপিং প্রশাসন।

চিনের সাম্প্রতিক জনসংখ্যা রিপোর্ট অনুসারে দেশে ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬৪ মিলিয়নে। যা গতবছরের তুলনায় ১৮.৭ শতাংশ বেশি। আগামী ২০২১-২০২৫ – ১৪তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিন সন্তানের এই নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। চিনে এই মুহূর্তে জন্মহার যথেষ্ট কম। ২০২০ সালে চিনে প্রায় ১২ মিলিয়ন শিশু জন্মগ্রহণ করে। যা গত চারবছরে সর্বনিম্ন।

প্রসঙ্গত ২০১৯-এ প্রকাশিত রাষ্ট্রসংঘের এক রিপোর্ট অনুসারে চিনের জনসংখ্যা ১.৪৩ বিলিয়ন এবং ভারতের ১.৩৭ বিলিয়ন। আগামী ২০২৭ সালের মধ্যে ভারতের জনসংখ্যা চিনকে ছাপিয়ে যাবে।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in