

একটি শীর্ষ চীনা ভোক্তা গোষ্ঠী কেএফসি (KFC) খাবার বয়কটের আহ্বান জানিয়েছে। তাঁদের দাবি, কেএফসির বিজ্ঞাপন ‘খাদ্য অপচয়’কে উত্সাহিত করছে। চায়না কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন (সিসিএ) বলেছে যে, কেএফসির প্রচারটি গ্রাহকদের মধ্যে খাবার কেনার জন্য উন্মাদনা তৈরি করছে।
প্রসঙ্গত, KFC গত সপ্তাহে পপ মার্টের সাথে প্রচার শুরু করেছে, যা একটি চীনা খেলনা নির্মাতা, যারা ‘রহস্যময় বাক্স’ নির্মাণের জন্য সুপরিচিত। চীনে কেএফসির প্রথম আউটলেট প্রতিষ্ঠার ৩৫ তম বার্ষিকীতে নতুন ওই প্রমোশন চালু করা হয়েছে।
ওই খেলনা পেতে হলে ক্রেতাদের কেএফসির শতাধিক প্যাকেট কিনতে হবে। মোট খরচ হবে ১০ হাজার ইয়ানের বেশি (১,৬৪৯ মার্কিন ডলার)। সেক্ষেত্রে ক্রেতারা ওই ‘রহস্যময় বাক্স’ পেতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার কিনবে। ফলে প্রচুর পরিমানে খাদ্য নষ্ট হবে। যা চীনের সংস্কৃতির পরিপন্থী শুধু নয়। এখন তা আইনত অপরাধ।
সিসিএ-র পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয় – “কেএফসি (KFC) ‘লিমিটেড এডিশন ব্লাইন বক্স’ দেওয়ার মাধ্যমে ক্রেতাদের অযৌক্তিকভাবে তাদের নির্ধারিত খাবার কিনতে উৎসাহিত করছে। ওই প্রমোশনাল অফারের লোভে কিছু ক্রেতা পাগলের মতো খাবার কিনবে। এতে প্রচুর পরিমানে খাদ্য অপচয় হওয়ার সম্ভাবনা আছে।”
প্রসঙ্গত, খাবারের অপচয় রোধে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০২০ সালে ‘ক্লিন প্লেট ক্যাম্পেইন’ নামে বড় ধরনের প্রচার শুরু করেছিলেন। চীনের যেকোনো রেস্টুরেন্টে খাবার অপচয় করলে রীতিমতো জরিমানাও করা হয়। ক্রেতারা যতটুকু খেতে পারবে ততটুকু খাবার অর্ডার করতে হয়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন