চিনের সিচুয়ান প্রদেশে এক বিধ্বংসী ভূমিকম্পে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২১ জনের। ২০১৭ সালের পর থেকে এটাই এই অঞ্চলের সবথেকে বড়ো ভূমিকম্প। এই ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল রিখটর স্কেলে ৬.৮ ম্যাগনিটিউড। ভূমিকম্পে সিচুয়ান প্রদেশের রাজধানী চেংডু ও তার আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
চিনা আর্থকোয়াক নেটওয়ার্কস সেন্টারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে চেংডুর ২২৬ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এই ভূমিকম্পের উৎস। ২৯.৫৯ ডিগ্রি নর্থ ল্যাটিটিউড এবং ১০২.০৮ ডিগ্রি ইষ্ট লঙ্গিটিউড এবং ভূমি ১৬ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্পের উৎস বলে জানিয়েছে নেটওয়ার্কস সেন্টার। উল্লেখ্য, সিচুয়ান প্রদেশের দক্ষিণ পশ্চিম ভাগে ভূমিকম্প খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। চেংডু শহরে ২ কোটির বেশি মানুষ বসবাস করেন। ভূমিকম্পের উৎসস্থলের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ৩৯ হাজার মানুষ বসবাস করেন এবং ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাস করেন প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ।
চিনা নিউজ সার্ভিস-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে লুডিং প্রদেশে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল সবথেকে বেশি। এই অঞ্চলের বহু বাড়িতেই ভূমিকম্পের জেরে ফাটল ধরেছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ৬০০ সদস্য বিশিষ্ট উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
ভূমিকম্পের পর স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে ভূমিকম্পের উৎসস্থল থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত হাইড্রোপাওয়ার স্টেশনের কোনো ক্ষতি হয়নি। যদিও ভূমিকম্পের জেরে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে এবং কমপক্ষে ৪০ হাজার উপভোক্তা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন।
এর আগে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে এই অঞ্চলে ৭.০ ম্যাগনিটিউড তীব্রতার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তারও আগে ২০০৮ সালের মে মাসে এই অঞ্চলে ৮.০ ম্যাগনিটিউড তীব্রতার ভূমিকম্প হয় এবং যে ভূমিকম্পে প্রায় ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
- with inputs from IANS
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন