

ইউক্রেনে গণভোটে অধিকৃত অঞ্চলে মার্শাল ল জারি করেছে রাশিয়া। যার জেরে ভারতীয় নাগরিকদের অবিলম্বে ইউক্রেন ছাড়তে নির্দেশিকা জারি করেছে কিয়েভের ভারতীয় দূতাবাস।
ক্রমশ অবনতি হচ্ছে ইউক্রেনের পরিস্থিতি। ক্রিমিয়ার সংযোগকারী ব্রিজে বিস্ফোরণের পর থেকেই কিয়েভে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়েছে রাশিয়া। বুধবার ডনেৎস্ক, লুহানেস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়াতে বুধবার মার্শাল ল ঘোষণার ফলে আশঙ্কায় রয়েছে গোটা বিশ্ব। এই বিষয়কে মাথায় রেখেই ইউক্রেনে থাকা ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে - নিরাপত্তার দিক গুরুত্ব দিয়ে জানানো হচ্ছে যাঁরা ইউক্রেনে আছেন তাঁরা নিরাপদ স্থানে থাকুন। দেশের কোনো প্রান্তে ঘুরে বেড়াবেন না। সাথে এও বলা হয়েছে “পড়ুয়া সহ ভারতীয় নাগরিকরা যতদ্রুত সম্ভব ইউক্রেন ছাড়ুন”।
ইউক্রেন রাষ্ট্রপতির পরামর্শদাতা মিখাইলো জানান, 'রাশিয়া আসলে আমাদের দেশের সম্পত্তি লুঠ করতে চাইছে। তাই ঢাল হিসেবে মার্শাল ল-কে ব্যবহার করছে তারা। রাশিয়ার এই পদক্ষেপে আমরা পিছিয়ে যাব না। আমাদের অঞ্চল আমরা পুনরায় উদ্ধার করব। রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি থাকবে।'
ইউক্রেনের ওই চার অঞ্চলে গণভোট হয়। তাতে দেখা যায় দক্ষিণের দু’টি ও পূর্বের দু’টি প্রদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পক্ষেই ভোট দিয়েছেন। এই চার প্রদেশ ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের প্রায় ১৫ শতাংশ।
যদিও এই গণভোটকে প্রহসন হিসেবে দেখেছিল ইউক্রেন ও তার মিত্র দেশগুলি। তাদের দাবি ছিল এইভাবে ভোটগ্রহণ উচিত নয়। বলপূর্বক গণভোট করা হয়েছে। মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, পশ্চিমারা কখনোই রাশিয়াকে ওই অঞ্চলগুলি দখল করতে দেবে না। রাশিয়ার এই আগ্রাসন প্রতিহত করা হবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন