

ছাত্রনেতা তথা ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ফের উত্তাল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রথম সারির দুই সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’ এবং ‘ডেলি স্টার’-এর দফতরে ব্যাপক ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে উন্মত্ত জনতা। বিবিসি বাংলা-র প্রতিবেদন অনুসারে, ‘প্রথম আলো’-র চারতলা ভবনের পুরোটাই পুড়ে গেছে।
বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে রেহাই পায়নি দেশের প্রখ্যাত সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ছায়ানট’। রাতভর তাণ্ডব চালানো হয়েছে ‘ছায়ানট’-এ। বিবিসি বাংলা-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত ১টা নাগাদ ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট-এর ভবনে হামলা চালান বিক্ষোভকারীরা। সাততলা ভবনের প্রতিটি ঘরে ঢুকে ঢুকে ভাঙচুর করা হয়েছে। ভাঙা হয়েছে দরজা, জানলা, চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ সহ যাবতীয় আসবাবপত্র।
আছড়ে ভাঙা হয়েছে হারমোনিয়াম। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে তবলাতে। ভবনের একাধিক জায়গায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত সন্জীদা খাতুনের ছবি বিকৃত করা হয়েছে। ছেঁড়া হয়েছে লালনের ছবি। সমাজমাধ্যমে ছায়ানটে তাণ্ডবের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। ভাঙা হারমোনিয়াম, আগুনে বিধ্বস্ত কক্ষ, পুড়ে যাওয়া বই ইত্যাদির ছবিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
আপাতত ছায়ানটের কার্যক্রম অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে। সংগঠনের সমাজমাধ্যমে একথা জানানো হয়েছে।
এমতা অবস্থায় দেশবাসীকে হিংসার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহম্মদ ইউনূস।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন