
আফগানিস্তান সম্পূর্ণ দখল করেছে তালিবান। কিন্তু সেই সরকারকে এখনই স্বীকৃতি দিতে চাইছে না বাংলাদেশ। তাই ‘ধীরে চলো’ নীতি নিয়ে চলতে চাইছে ঢাকা। আন্তর্জাতিক মঞ্চ তালিবানকে নিয়ে কী ভাবছে, তা দেখে তবেই পরবর্তী পদক্ষেপ করবে শেখ হাসিনার প্রশাসন, এমনটাই জানা গিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী মহম্মদ শাহরিয়ার আলম বলেন, 'আমরা এখনই আফগানিস্তানের নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবছি না। কারণ, এটি তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আমরা স্থায়ী সরকারের জন্য অপেক্ষা করব।'
তাঁর কথায়, এই বিষয়ে আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। মহিলাদের অধিকার-সহ মৌলিক কিছু বিষয়ে তালিবানের নীতি পর্যবেক্ষণ করছে ঢাকা। তবে সেদেশের উন্নয়নে রাষ্ট্রসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো বহুপক্ষীয় উদ্যোগ নেওয়া হলে, ঢাকা তাকে অবশ্যই সমর্থন করবে।'
প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের পর ভারতীয় উপমহাদেশে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেতে পারে। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রতিরক্ষা বিভাগের গোয়েন্দারা। তালিবানে যোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা এরকম বেশ কয়েকজন পুলিশের জালে ধরাও পড়ে।
কিছু বাংলাদেশি নাগরিক তালিবানের হয়ে লড়াই করতে আফগানিস্তানে গিয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ঢাকার পুলিশপ্রধান। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশের পুলিশ গ্রেফতার করে আল কায়দার শাখা সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই জঙ্গিকে। আল কায়দার শক্তিবৃদ্ধি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন