Bangladesh: পত্রিকা পড়ে বা টক শো দেখে দেশ চালান না প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিডিয়াতে কে কী লিখলো তা পড়ে কিম্বা টক শোতে কে কী বলে তা শুনে দেশ চালাই না। আমি দেশ পরিচালনা করি অন্তর থেকে। বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি আরও বলেন, এমন কিছু লোক আছে যারা সব সময় সমালোচনা করেন। আছে কিছু লোক, আছে না? যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা। এই সমস্যায় কিছু লোক ভোগে। আর কিছু লোক আছে হতাশায় ভোগে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, কথায় কথায় হতাশ হওয়াটা মানুষের একটা বদ অভ্যাস হয়ে গেছে। যতই কাজ করি তারপরেও বলবে এটা হলো না কেন? ওটা হলো না কেন? আমি একটু বলব, এটা না বলে আগে কী ছিল আর এখন কী আছে সেটা দেখলেই তো হয়ে যায়। সেটা দেখতে পারবে না।
এই সংসদ নেতা আরও বলেন, আমার বাবা এই দেশ স্বাধীন করেছেন। এই দেশের দরিদ্র মানুষের জন্য বছরের পর বছর তিনি জেল খেটেছেন। নিজের জীবনটাকে উৎসর্গ করেছেন। সেই মানুষগুলোর জন্য কী কাজ করতে হবে, এটা শিখেছি আমার বাবার কাছ থেকে মায়ের কাছ থেকে; আমি সেটাই কাজে লাগাই।
‘মানুষ তার সুফল পাচ্ছে কি না সেটা যাচাই করি। কে কী বলল ওটা শুনে হতাশ হওয়া বা উৎসাহিত হওয়া আমার সাজে না, আমি করিও না। এটাই হলো বাস্তবতা’ বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৭ সালের ৭ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে ছিলেন, ‘আমি পত্রিকা পড়ে দেশ চালাই না। দেশকে, দেশের মানুষকে ভালোবেসে দেশ চালাই। বাবার কাছ থেকে যা শিখেছি, দেশের উন্নয়ন কিভাবে করতে হয়; সে চিন্তা করেই দেশ চালাই।’
SUPPORT PEOPLE'S REPORTER
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

