বাংলাদেশ সব বিদেশী চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি পরিপত্র জারি হয়। যেখানে বলা হয় ১ অক্টোবর থেকে যেসব বিদেশী চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে সেগুলোর সম্প্রচার বন্ধ করতে হবে। সেই প্রেক্ষিতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বাস্তবায়ন করেছে ক্যাবল অপারেটরা।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানান, আইন অনুযায়ী দেশে বিদেশী চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপনমুক্ত (ক্লিনফিড) সম্প্রচার বাস্তবায়নে ১ অক্টোবর থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। মন্ত্রণালয়ের পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইন প্রয়োগে এ ব্যবস্থার কথা জানান মন্ত্রী।
তথ্যন্ত্রী আরও বলেন, ‘১ অক্টোবর থেকে আমরা সারাদেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবো। কোনও বিদেশী চ্যানেলে ক্লিনফিড দেখানো না হলে এবং মন্ত্রণালয়, টেলিভিশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ক্যাবল অপারেটর ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে ক্যাবল লাইনে সম্প্রচারের জন্য টেলিভিশনগুলোর নির্ধারিত ক্রমের ব্যত্যয় হলে বা কোনও ক্যাবল অপারেটর আইন ভঙ্গ করে নিজেরা বিজ্ঞাপন, অনুষ্ঠান প্রদর্শন করলে বা আইনের অন্য কোনও ব্যত্যয় ঘটালে সংশ্লিষ্ট চ্যানেল ডাউনলিংকের অনুমতিপ্রাপ্ত ডিস্ট্রিবিউটরদের এবং ক্যাবল অপারেটরদের ওপরই আইন ভঙ্গের দায় বর্তাবে এবং আগামীকাল (আজ শুক্রবার) থেকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সভাপতি এস এম আনোয়ার পারভেজ বলেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি পরিপত্র জারি হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে ১ অক্টোবর থেকে বিদেশি যেসব চ্যানেল বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে সেগুলো প্রচার করা যাবে না। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশী চ্যানেল ব্যাতিত সবগুলো চ্যানেল বন্ধ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বিদেশী সব চ্যানেলই বিজ্ঞাপন প্রচার করে। যেহেতু সরকার বিজ্ঞাপনমুক্ত বিদেশী চ্যানেল চাইছে সেহেতু বিজ্ঞাপন প্রচার করে এমন চ্যানেল তো আমরা প্রচার করতে পারি না। তাই বিদেশী সব চ্যানেল বন্ধ রয়েছে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।
