

বাংলাদেশের ঢাকায় স্কুলের উপর ভেঙে পড়ল বায়ুসেনার বিমান। ভেঙে পড়ার পরই আগুন ধরে যায় বিমানটিতে। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম প্রথম আলো সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায়। দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন অন্তত ১৬৪ জন। যার মধ্যে বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। তাঁদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৬ মিনিট নাগাদ বিমানটি উড়েছিল। এরপরেই বিমানটি ভেঙে পড়ে ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের উপর। এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে বাংলাদেশে।
বাংলাদেশের বায়ুসেনার তরফ জানানো হয়েছে, এফ-৭ বিমানটি ভেঙে পড়েছে। প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহার হয় বিমানটি। তবে কী কারণে বিমানটি ভেঙে পড়ল তা জানা যায়নি এখনও। এই দুর্ঘটনায় পাইলট সহ ১৯ জন নিহত হয়েছেন। দমকল বিভাগের লিমা খান প্রথম আলোকে বলেছেন, দমকলের ৯টা ইউনিট সেখানে কাজ করছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে প্রচুর পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, সে জন্য মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবি।
অন্যদিকে, দমকল বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গুরুতর আহত চার জনকে হেলিকপ্টারে চাপিয়ে সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকিদের অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
উত্তরার ওই মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ ভবনের বাইরে জড়ো হয়েছেন উদ্বিগ্ন অভিভাবকেরা। সেই স্কুলের শিক্ষক সবুজ মিয়াঁ প্রথম আলো-কে জানিয়েছেন, বিমানটি যখন ভবনে ভেঙে পড়ে, তখন স্কুল ছুটি হয়ে গিয়েছিল। তবে বেশ কিছু পডুয়া স্কুলের ভিতরেই ছিল। অনেক অভিভাবকই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডিরেক্টর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, "যারা নিহত, এখনো তাদের পরিচয় আমরা জানতে পারিনি, সময় লাগবে। আমাদের ধারণা, অধিকাংশই শিশু।"
প্রথম আলো সূত্রে জানা গেছে, মাইলস্টোন কলেজের সামনে অসংখ্য মানুষ ভিড় জমিয়েছেন। কলেজের বিধ্বস্ত ভবন থেকে একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স বের হচ্ছে। এখন সেখান থেকে আহত মানুষদের জন্য রক্ত দেওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন