
সাতসকালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো নেপাল সীমান্ত সংলগ্ন তিব্বত। কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.১। এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৩২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। চীনা সংবাদমাধ্যম সিনহুয়াকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএফপি একথা জানিয়েছে। অন্য একটি সূত্র জানাচ্ছে, কমপক্ষে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত বহু।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (এনসিএস) অনুসারে, সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে প্রথম কম্পন অনুভূত হয়। কম্পনের উৎসস্থল তিব্বতের শিজাং শহর, ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে। এরপর ৭ টা ২ মিনিটে ফের দ্বিতীয়বার কম্পন অনুভূত হয়। এর তীব্রতা ছিল ৪.৭। এর পাঁচ মিনিট পরে অর্থাৎ ৭টা ৭মিনিটে তৃতীয় কম্পন অনুভূত হয়। তীব্রতা ৪.৯। এছাড়া আরও একাধিকবার আফটার শক অনুভূত হয়েছে। স্থানীয়দের কথায়, প্রায় ৪০ বার আফটার শক অনুভূত হয়েছে। তিব্বত এবং নেপালের পাশাপাশি বিহার, আসাম ও পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের বেশ কিছু অংশে কম্পন অনুভূত হয়েছে।
নেপাল ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা। বিজ্ঞানীদের মতে, এই অঞ্চলে ভূগর্ভের নীচে থাকা ইউরেশিয়ান টেকটোনিক প্লেটগুলির সাথে ভারতীয় প্লেটের প্রায়ই সংঘর্ষ হয়। ২০১৫ সালে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে নেপালে প্রায় ৯,০০০ মানুষ মারা গিয়েছিলেন এবং ২২,০০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছিল। ৫ লাখেরও বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছিল। ২০২৩ সালের নভেম্বরেও ৬.৪ মাত্রার জোরালো ভূমিকম্প হয়েছে নেপালে। শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন