Armenia-Azerbaijan: নাগোর্নো-কারাবাখ প্রদেশ নিয়ে আবার সংঘর্ষে জড়াল সাবেক সোভিয়েতের দুই দেশ

সম্প্রতি ২০২০ সালে আবার যুদ্ধ শুরু হয়। প্রায় ৬ সপ্তাহের যুদ্ধ শেষে আজারবাইজান প্রায় গোটা নাগোর্নো-কারাবাখ প্রদেশ দখল করে নেয়। অবশেষে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয় দুই দেশের মধ্যে।
ছবি - প্রতীকী
ছবি - প্রতীকী
Published on

ইউক্রেন-রাশিয়ার সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত ইউরোপ। এরইমধ্যে আবার নতুন করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দুই রাষ্ট্র আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। দুই দেশের সীমান্তে অবস্থিত নাগোর্নো-কারাবাখ প্রদেশ নিয়েই লড়াই এই দুই দেশের।

সরকারিভাবে এই অঞ্চল আজারবাইজানের অধীনে হলেও দীর্ঘদিন সেখানে ক্ষমতায় ছিল আর্মেনিয়ার মদতপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী। আজারবাইজানে মূলত মুসলিম জনসংখ্যা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও নাগোর্নো-কারাবাখ প্রদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল আর্মেনিয়রা। তাই তারা আজারবাইজানের অধীনে থাকতে চায়নি।

সোভিয়েত ইউনিয়নে থাকাকালীনই আর্মেনিয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এই এলাকা দখল করে ১৯৮০ সাল নাগাদ। তারপর দীর্ঘদিন বকলমে আর্মেনিয়াই এই অঞ্চলের শাসনকার্য চায়। সম্প্রতি ২০২০ সালে আবার যুদ্ধ শুরু হয়। প্রায় ৬ সপ্তাহের যুদ্ধ শেষে আজারবাইজান প্রায় গোটা নাগোর্নো-কারাবাখ প্রদেশ দখল করে নেয়। অবশেষে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয় দুই দেশের মধ্যে। কিন্তু সেই শান্তি চুক্তির স্থায়িত্ব নিয়েই উঠে গেল প্রশ্ন। আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে দুই দেশ।

মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকেই সীমান্তবর্তী এলাকায় গোলাগুলি শুরু হয়েছে। উভয় দেশই একে অপরের দিকে আঙুল তুলছে। উভয় দেশই তাদের সেনাকর্মী মারা মারা গেছে বলে দাবি করছে। তবে সংখ্যা কত তা কোনও পক্ষই বলছে না।

এক বিবৃতিতে, আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে যে, আজারবাইজান মঙ্গলবার গোরিস, সোক এবং জেরমুক শহরে আর্মেনিয় সামরিক ঘাঁটিগুলিতে “অনবরত গোলাবর্ষণ” শুরু করেছে। আজারবাইজানীয় সৈন্যরা ড্রোন ব্যবহার করেছে, সেইসাথে “আর্টিলারি এবং বড়-ক্যালিবার আগ্নেয়াস্ত্র” প্রয়োগ করেছে।

পাল্টা বিবৃতি দিয়ে আজারবাইজান জানিয়েছে - আর্মেনিয়ার বাহিনীই প্রথমে গোলাগুলি চালাতে শুরু করে। দাসকেসান, কেলবাজার ও লাচিনে তারা ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ করে। আজারবাইজান সেনা পাল্টা দিয়েছে।

ইতিমধ্যে, আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে ফোন করেছেন। আর্মেনিয়া রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন যৌথ নিরাপত্তা চুক্তি সংস্থার (CSTO) কাছে আবেদন করবে (সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্রগুলির একটি নিরাপত্তা ব্লক)। পাশাপাশি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছেও এই বিষয়ে আবেদন জানাবে বলে জানিয়েছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী।

ছবি - প্রতীকী
রানীর ২য় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর ব্রিটেনের রাজতন্ত্র থেকে মুক্তি চাইছে একাধিক কমনওয়েলথ দেশ

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in