আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য যখন গোটা বিশ্ব আমেরিকার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে, সেদেশে তালিবানের অরাজকতার খবরে চমকে উঠছেন সবাই, তখন চিনও তার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল। আফগানিস্তানকে সবরকম আর্থিক সাহায্য করার আশ্বাস দিল বেজিং। সোমবার তারা জানিয়েছে, আমেরিকা চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বিভিন্ন দেশ আফগানিস্তানকে আর আর্থিক সাহায্য করছে না। কিন্তু চিন জানাচ্ছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে তারা সদর্থক ভূমিকা নেবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তালিবান এবার চিন ও পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকবে। কারণ, মার্কিন আর্থিক সাহায্য বন্ধ হয়ে যাবে। আমেরিকা অস্ত্র সরবরাহ করবে না, সেটাও জানিয়ে দিয়েছে। চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন আমেরিকাকেই দায়ী করে বলেন, 'আফগানিস্তানের পুনর্গঠনের সময়, কোনও দেশকে এভাবে বিশৃঙ্খলার মধ্যে ঠেলে দিয়ে তার প্রতিকার না করে, আমেরিকা চলে যেতে পারে না'। তিনি জানান, 'আশা করি, আফগানিস্তানে খুব তাড়াতাড়ি অশান্তি এবং যুদ্ধ শেষ হবে।'
বেজিংয়ের দাবি, 'তালিবান আর আগের মতো নেই। কট্টরপন্থা মনোভাব কমেছে। পাশাপাশি কূটনৈতিক বুদ্ধি বেড়েছে।'চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনিয়াং বলেন, ‘কোনও সমস্যা নিয়ে আলোচনার সময় শুধু অতীত নিয়ে না ভেবে বর্তমানে কী ঘটছে সেটাও দেখতে হবে।'
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে তালিবানদের সাথে চীন কোনরকম ঝামেলায় জড়াতে চাইছে না। আমেরিকার সিদ্ধান্তগত বিপর্যয় থেকে তারা যথেষ্ট শিক্ষা নিয়েছে। তাছাড়াও রয়েছে বানিজ্যিক স্বার্থ। আফগানিস্তান লাগোয়া প্রদেশে চীন-পাকিস্তান স্পেশাল ইকোনমি জোনের নিরাপত্তার বিষয়টিও মাথায় রাখছে তারা। এছাড়াও চীনের জিংজিয়াং প্রদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে যাতে তালিবানরা না ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে সে বিষয়ে তাদের বিশেষ নজর রাখতে হচ্ছে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।