Ukraine crisis: যুদ্ধ শুরুর পর সবথেকে বড় মিসাইল হানা রাশিয়ার! অন্ধকারে ইউক্রেনের একাধিক শহর

প্রশাসনের আধিকারিকেরা জানান, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এটাই সব থেকে বড়ো মিসাইল হানা। রাজধানী কিয়েভের সাথে সমস্ত রকম আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে রাশিয়া।
জেলেন্সকি ও পুতিন
জেলেন্সকি ও পুতিনগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন

ইউক্রেনে ভয়াবহ মিসাইল হামলা চালালো রুশ সেনা। ইউক্রেনের দাবি ৭০টিরও বেশি রুশ মিসাইল শুক্রবারে আছড়ে পড়ছে রাজধানী কিয়েভে। একাধিক শহরে বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যেন থামতেই চাইছে না। এবার আরও তীব্র হল মিসাইল আক্রমণ। ইউক্রেনের প্রশাসনের আধিকারিকেরা জানান, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এটাই সব থেকে বড়ো মিসাইল হানা। রাজধানী কিয়েভের সাথে সমস্ত রকম আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে রাশিয়া।

এই ঘটনার পরেই রাশিইয়ার বিরুদ্ধে ফের সুর চড়িয়েছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তিনি বলেন - ইউক্রেন যথেষ্ট শক্তিশালী। যতই রাশিয়া মিসাইল আক্রমণ চালাক আমরা কিছুতেই ভয় পাব না। যুদ্ধের গতিরও এতে কোনো পরিবর্তন হবে না।৭৬টি রাশিয়ান মিসাইলের মধ্যে ৬০টি আমরা গুলি করে ধ্বংস করেছি।

হামলার জেরে কিয়েভের দুই-তৃতীয়াংশ অঞ্চলের বাসিন্দাদের জল ও বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সকলকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে দ্রুত সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু কিয়েভই নয়, উত্তর-পশ্চিম ইউক্রেনের অন্য এক গুরুত্বপূর্ণ শহর খারকিভও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

সম্প্রতি ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিলেন, শীত পড়তেই আক্রমণের মাত্রা বাড়াতে পারে রাশিয়া। সেনাবাহিনীর (ইউক্রেন) জেনারেল ভ্যালেরি জালঝুনিও প্রেসিডেন্টের সাথে সম্মতি জ্ঞাপন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধের বর্ষপূর্তি। তার আগেই রাশিয়া চাইবে কিয়েভের দখল নিতে। সেই উদ্দেশ্যে ২ লক্ষ রুশ সেনাকে রাজধানীর দিকে একাধিক ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া গাড়ি নিয়ে পাঠানো হচ্ছে।

জেলেন্সকি ও পুতিন
Britain: রেল, ডাক, বিমানবন্দর কর্মীদের পর এবার নার্সদের ধর্মঘটে অচল ব্রিটেন

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in