প্রতিবেশী দেশে নিজেদের মনোমত শাসন কায়েম হওয়ায় শুধু পাকিস্তান সরকার নয়, খুশি পাকিস্তানের আম জনতা। কিন্তু সেদেশের সামনে এখন এক প্রবল সমস্যা বড় হয়ে দেখা দিতে চলেছে, সেটা হল উদ্বাস্তু সমস্যা।
আপাতত নজর সরে গেছে কোভিড ১৯ আর অর্থনৈতিক মন্দা থেকে। ক্রমশ বেড়েই চলেছে উদ্বাস্তু স্রোত। সীমান্তে অনেক জায়গাতেই বেড়া নেই. আর পাকিস্তানি সেনাও উদ্বাস্তুদের আসা রুখতে ব্যর্থ।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের উদ্বাস্তু সংক্রান্ত হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি গত সপ্তাহেই ইসলামাবাদ সফরে গিয়ে পাকিস্তানকে আরও উদ্বাস্তুকে জায়গা দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। যদিও পাকিস্তান তার অক্ষমতার কথা জানিয়ে দেয়।
পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে জানা গেছে এই রকম পরিস্থিতিতে বিদেশ থেকে সরকারি বেসরকারি সূত্র থেকে আসা অর্থ সাহায্য অন্য কাজে লাগানো হয়। দুর্নীতির ফলে আসল কাজের কাজ কিছুই হয় না।
আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্ত বরাবর স্থানীয় সূত্র উল্লেখ করে ২সেপ্টেম্বর আল জাজিরা জানিয়েছে ১৫ অগস্ট তালিবান কবলে কাবুল যাওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন ৫০০০করে মানুষ সীমান্ত পেরোচ্ছিল তারপরে ওই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
স্থানীয় মানুষ উদ্বাস্তুদের ভাল চোখে দেখে না। সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা ছাড়াও মাদক, অপরাধ এবং রোগ ছড়ানোর সমস্যা আছে। এছাড়া এই অঞ্চলটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা আছে।তা নিয়েও মাথাব্যথা আছে পাকিস্তান প্রশাসনের।
বর্তামানে পাকিস্তানে ১.৪মিলিয়নের বেশি নথিভুক্ত আফগান উদ্বাস্তু আছে। এদের মধ্যে অনেকেই এসেছিল ৪০বছর আগে রুশ অভিযানের সময়ে। এরপর গোটা আটের দশক জুড়ে উদ্বাস্তুদের আগমন চলতেই থাকে।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের উদ্বাতু সংক্রান্ত হাই কমিশনের হিসাব অনুযায়ী ২০০২এর মধ্যে ৩ মিলিয়নের বেশি উদ্বাস্তু পাকিস্তানে আসে। তাদের মধ্যে অনেকেই ফিরে গেছিল। এ বছরের গোড়ায় মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তান থেকে দেশে ফিরতে শুরু করায় আবার সেই সংখ্যা বাড়তে শুরু করে।
- with inputs from IANS
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।