Afghanistan: দরজায় চিঠি সেঁটে তালিবানি বিচারসভায় হাজিরার নির্দেশ - ভয়ে গা ঢাকা দিচ্ছেন বহু নাগরিক

রাত্তিরে দরজায় চিঠি লাগিয়ে যাচ্ছে তালিবানিরা। তাঁদের দরজায় চিঠি সাঁটা হচ্ছে, যারা আমেরিকান বাহিনীর সঙ্গে কোনোভাবে যুক্ত ছিলেন। চিঠিতে স্পষ্ট নির্দেশ, বিচারের জন্য তালিবান আয়োজিত আদালতে হাজিরার।
কাবুলে তালিবানি যোদ্ধাদের প্রবেশ
কাবুলে তালিবানি যোদ্ধাদের প্রবেশফাইল ছবি খায়ের আলি ইসাকের ট্যুইটার হ্যান্ডেলের সৌজন্যে

রাতের বেলা দরজায় চিঠি লাগিয়ে যাচ্ছে তালিবানিরা। তাঁদের দরজায় চিঠি সেঁটে দেওয়া হচ্ছে, যারা আমেরিকান বাহিনীর সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে যুক্ত ছিলেন। চিঠিতে স্পষ্ট নির্দেশ, বিচারের জন্য তালিবান আয়োজিত আদালতে হাজিরার। যেখানে হাজিরা না দিলে মৃত্যু সুনিশ্চিত। একথা জানিয়েছে ডেইলি মেল।

হুমকি দেওয়া, ভয় দেখানোর জন্য চিঠি পাঠানো আফগানিস্তানের বহু পুরোনো প্রথা। দেশে সোভিয়েত ইউনিয়ন বাহিনীর উপস্থিতির সময় এভাবেই দরজায় চিঠি সেঁটে দিয়ে যেত মুজাহিদিনরা। পরবর্তী সময়ে তালিবানিরাও তাদের চোখে অপরাধীদের শায়েস্তা করার জন্য একই পদ্ধতি নিয়েছিলো। এই প্রথা মূলত গ্রামের দিকে চালু থাকলেও এখন তা ছড়িয়ে পড়েছে কাবুল শহরেও।

যেমন সম্প্রতি চিঠি পেয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী নাজ। যিনি এক নির্মাণ সংস্থার মালিক এবং তাঁর সংস্থা আমেরিকান বাহিনিকে হেলমন্দে রাস্তা তৈরি করতে সহায়তা করেছে, ক্যাম্প ব্যাস্টনে রানওয়ে তৈরি করতে সাহায্য করেছে। নাজ ইতিমধ্যেই ব্রিটেনে আফগান পুনর্বাসন প্রকল্পে আবেদন করেছিলো। যদিও সেই আবেদন খারিজ হয়ে গেছে।

নাজ জানিয়েছেন, তিনি যে চিঠি পেয়েছেন তা সরকারি এবং তালিবানিদের স্ট্যাম্প লাগানো। এটা পরিষ্কার যে ওরা আমাকে খুন করবে। আমি যদি ওদের আদালতে হাজিরা দিই তাহলে ওরা আমাকে মৃত্যুদন্ড দেবে। যদি আমি না যাই, তাহলেও আমাকে মেরে ফেলবে। সেই কারণে আমি লুকিয়ে আছি। এখান থেকে পালানোর রাস্তা খুঁজছি। আমি সাহায্য চাই।

৪৭ বছর বয়সী শির হেলমন্দে আমেরিকান বাহিনীর সঙ্গে কাজ করেছেন। তিনি বিদেশ যাবার ছাড়পত্র পেলেও বিমানবন্দরে পৌঁছতে পারেননি এবং দেশ ছাড়ার বিমান ধরতে পারেননি।

শির জানিয়েছেন, আমার মেয়ে আমার বাড়ির দরজায় পেরেক দিয়ে গাঁথা অবস্থায় এই চিঠি পেয়েছে। এই চিঠিতে আমাকে বিচারের জন্য আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। আমি না গেলে তালিবানিরা আমাকে খুঁজতে শুরু করবে এবং খুঁজে পেলেই মেরে ফেলবে।

এই মুহূর্তে তিনিও তালিবানিদের হাত থেকে বাঁচতে কোনো এক অজ্ঞাত জায়ভায় গা ঢাকা দিয়েছেন।

- with inputs from IANS

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in