মহিলাদের অধিকার রক্ষার দাবিতে কাবুলে এক বিক্ষোভ মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার। তালিবানি সরকারের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ মিছিল প্রেসিডেন্টের প্রাসাদের দিকে যেতে চাইলে তাদের আটকে দেওয়া হয়। যা নিয়ে গণ্ডগোল বাধে। স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে একথা জানানো হয়েছে।
টোলো নিউজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে, শনিবার বিকেলে মহিলাদের এই বিক্ষোভ মিছিলের ওপর তালিবানি স্পেশাল ফোর্স-এর সদস্যরা কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। বিক্ষোভরত মহিলারা রাজধানী কাবুল শহরের পাল-ই-মহম্মদ খান অঞ্চলে অবস্থিত প্রেসিডেন্টের প্রাসাদের দিকে মিছিল নিয়ে যাবার পথে তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। তালিবানিদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় তারা কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে বাধ্য হয়েছে।
সুরায়া নামের এক সমাজকর্মী টোলো নিউজকে জানিয়েছেন, মহিলাদের অধিকার রক্ষার দাবিতে আমরা বহু মহিলা জমায়েত হয়েছিলাম। আমাদের মিছিল যখন প্রেসিডেন্টের প্রাসাদের দিকে যাচ্ছিলো, সেই সময় আমাদের ওপর তালিবানিরা আক্রমণ চালায়। কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে এবং বহু মহিলাকে মারধোর করা হয়।
আব্দুলহক ইমাদ জানিয়েছেন, বিক্ষোভরত মহিলারা মিছিল করে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের দিকে যাচ্ছিলেন। এই অঞ্চলে বিদেশ মন্ত্রক এবং সেদারাত প্যালেস আছে। এই অঞ্চলে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হ্যনা। তালিবানিদের পক্ষ থেকে বহুবার তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করা হয় এবং পরে তারা মহিলাদের আটকে দিতে সক্ষম হয়।
শনিবারের এই বিক্ষোভে বিরাট সংখ্যায় মহিলারা জমায়েত হয়েছিলেন। যা দেশে এই নিয়ে মহিলাদের দ্বিতীয় বড়ো বিক্ষোভ। এর আগে গত সপ্তাহে একইভাবে হীরাটে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন মহিলারা। জানা গেছে এঁদের মধ্যে অনেকেই ন্যাশনাল রেডিও এবং টেলিভিশনের কর্মী।
উল্লেখ্য, গত ১৫ আগস্ট কাবুলের পতনের পর তালিবানিদের পক্ষ থেকে আরটিএ-তে কর্মরত মহিলাদের কাজে যেতে বারণ করা হয়েছে। বিক্ষোভরত মহিলাদের একটা বড়ো অংশই আফগানিস্তানের বিভিন্ন মিডিয়া হাউসে কর্মরত ছিলেন। যদিও তালিবানিরা কাবুল দখলের পর তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তালিবানি মুখপাত্র জাবিহুল্লা মুজাহিদ জানিয়েছেন মহিলাদের ইসলামিক রীতি মেনে কাজ করতে হবে। যদিও এই বিষয়ে তিনি বিস্তারিত ভাবে কিছু জানাননি।
- with Agency Inputs
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।