Afghanistan: তালিবানি নির্দেশে হেলমন্দ প্রদেশে দাড়ি কাটা ছাঁটা নিষিদ্ধ, বন্ধ চুলের কেতাদুরস্ত ছাঁট

আফগানিস্তানের হেলমন্দ প্রদেশে দাড়ি কাটা বা ছাঁটার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলো তালিবানিরা। তালিবানিদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এর ফলে ইসলামি আইন ভঙ্গ করা হবে। একথা জানিয়েছে বিবিসি।
ছবি প্রতীকী
ছবি প্রতীকী ছবি বি এফ এম নিউজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলের সৌজন্যে
Published on

আফগানিস্তানের হেলমন্দ প্রদেশে দাড়ি কাটা বা ছাঁটার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলো তালিবানিরা। তালিবানিদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এর ফলে ইসলামি আইন ভঙ্গ করা হবে। একথা জানিয়েছে বিবিসি। যারা এই নিয়ম ভঙ্গ করবে তাঁদের শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে জানিয়েছে তালিবানিদের ধর্মীয় পুলিশ বাহিনী। আফগানিস্তানের বেশ কিছু ক্ষৌরকার জানিয়েছেন তাঁরাও এই ধরণের নির্দেশ পেয়েছেন।

এই ধরণের নির্দেশিকা ক্রমশ বাড়তে থাকায় মনে করা হচ্ছে তালিবানিদের পূর্ববর্তী শাসনের মতই এবারেও আবার সেই পথেই ফিরছে তালিবানিরা। যদিও এবার তালিবানিদের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিলো আগেকার মত কড়াকড়ি করা হবেনা।

হেলমন্দ প্রদেশের বিভিন্ন সেলুনে তালিবানিদের পক্ষ থেকে পোস্টার লাগানো হয়েছে। যেখানে ক্ষৌরকারদের নোটিশ দিয়ে জানানো হয়েছে তাঁদের অবশ্যই চুল এবং দাড়ি কাটার সময় শরিয়া আইন মেনে চলতে হবে।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, কোনো ব্যক্তির অভিযোগ জানানোর কোনো অধিকার নেই। তালিবানি যোদ্ধারা বিভিন্ন সেলুনে আসছে এবং দাড়ি কাটা এবং ছাঁটার বিধিনিষেধ সম্বলিত পোস্টার লাগিয়ে দিয়ে চলে যাচ্ছে। তাঁরা আরও জানিয়ে যাচ্ছে পুরো বিষয়টিতে তাঁরা নজরদারি চালাবে।

হেলমন্দ প্রদেশের সবথেকে বড়ো সেলুনের মালিক জানিয়েছেন, তিনি একটি ফোন কল পেয়েছিলেন। তাঁকে বলা হয়েছিলো এক সরকারি আধিকারিক ফোন করছেন। তাঁকে ফোনে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চুল দাড়ি কাটার সময় আমেরিকান স্টাইল মানা চলবে না। কোনো ব্যক্তির দাড়ি কাটা অথবা ছাঁটা চলবে না।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ তালিবানিদের প্রথমবারের শাসনকালে কট্টরপন্থী ইসলামীরা ফ্ল্যামবয়েন্ট হেয়ারস্টাইল এবং দাড়ি কাটা নিষিদ্ধ করেছিলো। যদিও তালিবান পরবর্তী জমানায় দাড়ি কাটতেই অভ্যস্ত ছিলেন বহু আফগান। কেতাদুরস্ত চুল কাটাতেও তাঁরা অভ্যস্ত ছিলেন। আফগানিস্তানের ক্ষৌরকাররা মনে করছেন নতুন এই নির্দেশে তাঁদের পক্ষে ব্যবসা চালানো মুশকিল হয়ে উঠবে।

অন্যদিকে হীরাট প্রদেশের এক ক্ষৌরকার জানিয়েছেন, যদিও এখনও পর্যন্ত তিনি কোনো সরকারি নোটিশ পাননি তবুও তিনি দাড়ি কাটা এবং ছাঁটা বন্ধ করে দিয়েছেন। সাধারণ মানুষও দাড়ি কাটতে বা ছাঁটতে চাইছেন না। কারণ তাঁরা তালিবানিদের শিকারে পরিণত হতে চান না। তিনি আরও জানিয়েছেন, কেউই এখন স্টাইল বা ফ্যাশনের দিকে লক্ষ্য রাখছেন না। তাঁরা নিজেদের বাঁচাতে চাইছেন। ফলে দোকানের রোজগারও কমে গেছে।

(Except for the headline, this story has not been edited by People's Reporter and is translated and published from a syndicated feed.)

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in