তালিবানদের দাবি ছিল, আগের মতো নৃশংস রূপ তাদের দেখা যাবে না। কারণ, তারা বদলে গিয়েছে। যদিও তাদের এই আশ্বাস বাণীতে গোটা বিশ্ব একেবারেই ভরসা করেনি। বিশ্বের আশঙ্কাকে সত্যি করে সম্প্রতি তালিবান কারাপ্রধান বলেন, শরিয়ত মেনে তৈরি হবে দেশের আইন। অপরাধের শাস্তি হিসাবে হাত-পা কেটে নেওয়া হতে পারে। অথবা প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করার যে আইন ছিল, তা ফিরিয়ে আনা হবে। পরের দিনই হেরাটের রাস্তায় দেখা মেলে ক্রেনের মাথায় ঝুলছে মৃতদেহ।
এসব প্রত্যক্ষ করে আফগানিস্তানের তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা এখনই ভাবছে না বলে জানিয়েছে রাশিয়া। অন্যদিকে, ইতালির বিদেশমন্ত্রী লুইগি ডি মাইও বলেছেন, আফগানিস্তানের তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া তাঁদের পক্ষে অসম্ভব। তাঁর দাবি, তালিবান সরকার যে ক'জন মন্ত্রীকে নিয়োগ করেছে, তাদের মধ্যে অন্তত ১৭ জন সন্ত্রাসবাদী।
তালিবান কারাপ্রধান তুরাবির দাবি, ‘আমরা ওদের দেশের আইন নিয়ে মাথা ঘামাই না। ওরা কেন আমাদের আইন নিয়ে প্রশ্ন তুলবে!’ যদিও এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রসঙ্গ তুলেই রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ নিউইয়র্কের রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় বলেন, ‘তালিবান সরকারকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়ার যে প্রশ্ন, তা বর্তমান পরিস্থিতিতে ভাবার অবকাশই নেই।’
তালিবান বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি গত সোমবার ঘোষণা করেন, তাঁরা তালিবান মুখপাত্র সুহেল শাহিনকে রাষ্ট্রপুঞ্জের আফগান দূত হিসেবে মনোনীত করেছেন। এদিকে আফগান তালিবান সরকারকে রাষ্ট্রপুঞ্জ স্বীকৃতি দেবে কি না, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাষ্ট্রপুঞ্জের ক্রেডেনশিয়ালস কমিটি।
চিন-আমেরিকা-সহ এই কমিটির নয় সদস্যের মধ্যে অন্যতম রাশিয়া। ফলে মস্কোর সিদ্ধান্ত গুরুত্ব পাবে। অন্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছে চিন ও আমেরিকা। রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস জানান, তালিবানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির পাওয়ার একমাত্র উপায়, যথাযথ সরকার গঠন করতে হবে।
রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী জানান, সম্প্রতি রাশিয়া, চিন ও পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা কাতার, কাবুল গিয়েছিলেন। কথা বলেছেন তালিবান ও সেখানকার ‘ধর্মনিরপেক্ষ সম্প্রদায়ে’র প্রতিনিধিদের সঙ্গে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।