Afghanistan: কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ নিষেধ মহিলাদের, নিষেধাজ্ঞা জারি নতুন উপাচার্যের
ছবি - সংগৃহীত

Afghanistan: কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ নিষেধ মহিলাদের, নিষেধাজ্ঞা জারি নতুন উপাচার্যের

এমনই এক ফরমান জারি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য আশরফ গৈরাট।
Published on

দেশের সবথেকে বড় বিশ্ববিদ্যালয়, অথচ সেখানে কোনও মহিলাই প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে। পড়ুয়া, শিক্ষিকা বা মহিলা শিক্ষাকর্মী- সবার জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট বন্ধ হয়ে গেল। আজ এমনই এক ফরমান জারি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য আশরফ গৈরাট। তাঁর বক্তব্য, ‘যতদিন পর্যন্ত দেশে ইসলামি আবহ তৈরি না-হচ্ছে, ততদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়ে মেয়েদের এখানে প্রবেশ করতে দিতে পারি না। আগে ইসলাম, পরে অন্য সব কিছু।’

দিন কয়েক আগে উচ্চশিক্ষিত ও বর্ষীয়ান মহম্মদ ওসমান বাবুরিকে উপাচার্যের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর জায়গায় উপাচার্য করা হয় তরুণ তালিবান-পন্থী আশরফ গৈরাটকে। আশ্চর্যের বিষয়, আশরাফ গৈরাট শুধু স্নাতক উত্তীর্ণ। এর প্রতিবাদে ইস্তফা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ জন শিক্ষক। বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য কুখ্যাতি আছে আশরাফের। আফগানিস্তানের প্রগতিশীল শিক্ষিত মহল তাঁকে একেবারেই পছন্দ করে না। কয়েকদিন আগে মেয়েদের স্কুলকে ‘যৌনদাসী তৈরির কারখানা' বলে উল্লেখ করেন।

১৯৯৬-২০০১ সালেও শরিয়ত আইনের দোহাই দিয়ে মহিলাদের ঘরবন্দি-সহ নানা নিদান জারি করেছিল তালিবান। যদিও আফগানিস্তান দখল করার পর তালিবান মুখপাত্র জবিউল্লা মুজাহিদ দাবি করেছিলেন, পূর্বতন তালিবান জমানা নয়, নয়া রূপে তালিবানকে দেখবে বিশ্ব। কিন্তু তা যে শুধু বিশ্বের চোখে পর্দা ঝোলানোর জন্য, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উপাচার্যের কথায়।

অন্যদিকে, বাবা আফগানিস্তানের রেজিস্ট্যান্স ফোর্সের সদস্য। সেই অপরাধে তখর প্রদেশের ওই শিশুকে হত্যা করল তালিবান। গত সপ্তাহেই এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছিল, রেজিস্ট্যান্স ফোর্সের সদস্য এবং আশরফ গনি সরকারের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত ছিলেন, তাঁদের নিশানা করছে তালিবান। পঞ্জশির অবজার্ভারে এই শিশু হত্যার খবর প্রকাশ হয়েছে।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in