আমরুল্লা সালেহ (মাঝে)
আমরুল্লা সালেহ (মাঝে)ছবি- সংগৃহীত

Afghanistan: দেশেই আছি, সংবিধান অনুযায়ী আমি রাষ্ট্রপতি, টুইটারে দাবি উপরাষ্ট্রপতি আমরুল্লার

নেট মাধ্যমে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, তালিবানদের সামনে মাথা নত করার কোনও প্রশ্নই নেই। তালিবানদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে।
Published on

গাড়ি এবং হেলিকপ্টার ভর্তি করে টাকা নিয়ে দেশ ছেড়েছেন আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি আশরাফ গনি। এমনটাই শোনা গিয়েছিল। আর শোনা যায় যে, তার সহকারী অর্থাৎ উপরাষ্ট্রপতি আমরুল্লা সালেহ দেশ ছেড়ে তাজিকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন। সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, দেশের সংবিধান অনুযায়ী, তালিবানরা যতই হম্বিতম্বি করুক, তিনিই এখন দায়িত্বে আছেন। কারণ তিনি কোথাওই যাননি। দেশেই আছেন।

আফগানিস্তান থেকে আমেরিকা সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরে ধীরে ধীরে গোটা দেশের দখল নিতে শুরু করে তালিবানরা। গত রবিবার কাবুল দখল করার পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গনি। আমরুল্লা-ও সেই পথে হাঁটেন বলে শোনা যায়। কিন্তু নেট মাধ্যমে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, তালিবানদের সামনে মাথা নত করার কোনও প্রশ্নই নেই। তালিবানদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। সেই বিদ্রোহে দেশবাসিকেও শামিল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

আফগানিস্তানে রয়েছেন জানিয়ে টুইটারে আমরুল্লা লেখেন, ‘ভ্রম সংশোধন: আফগানিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট না থাকলে, পলাতক হলে, ইস্তফা দিলে অথবা মারা গেলে, উপরাষ্ট্রপতিই ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট বলে বিবেচিত হবেন। এই মুহূর্তে আমি দেশেই আছি। আমিই বর্তমানে বৈধ ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট। এব্যাপারে সমর্থন এবং ঐকমত্য পেতে সব রাজনীতিকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি আমি।’

যেহেতু সবাই জেনেছিলেন, রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি দু'জনেই দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। ফলে এই কয়েকদিন দেশবাসী একপ্রকার অভিভাবকহীন অবস্থায় দিন কাটিয়েছিলেন। তারই মধ্যে হাজার হাজার মানুষ দেশ ছাড়ার জন্য উদ্যোগী হয়েছিলেন। গনির বিরোধী শিবিরের নেতারা তাঁকেই দোষী সাব্যস্ত করতে উঠেপড়ে লাগেন। সেই সময় তালিবানদের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে সক্রিয় ভূমিকা নিতে দেখা যায় হামিদ কারজাইকে, যিনি কিনা আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট।

প্রসঙ্গত, সাংবিধানিক বিধিনিষেধের জন্য তৃতীয়বার হামিদ কারজাই প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি। তাঁর জায়গায় গত ২০১৪ সালে গনি ক্ষমতায় আসেন। তাই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে যে, নিজের প্রত্যাবর্তনের জন্যই কারজাই যোগাযোগ রাখছেন তালিবানদের সঙ্গে? এদিকে, আমরুল্লা আদৌ দেশে আছেন কিনা, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। তিনি নিজেকে সাংবিধানিকভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত বলে দাবি করলেও আদতে তালিবানদের সঙ্গে কোনো রকম বোঝাপড়া করতে চাইছেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কূটনীতিকরা।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in