তালিবানদের আফগানিস্তান দখলের পর থেকে তারা বারবার বলে এসেছে যে, তারা আগের মতো নেই। কিন্তু একের পর এক নৃশংস অত্যাচারের ঘটনায় নিজেদের দাবিকে নিজেরাই ভুল প্রমাণিত করেছে। সেরকমই এক নৃশংস ঘটনার খবর ইরানের সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে।
এক খেলোয়াড়ের গলা কেটে হত্যা করেছে তালিবান। নিহত খেলোয়াড় আফগানিস্তানের মহিলা জুনিয়র ভলিবল টিমে খেলতেন। নিহত খেলোয়াড়ের নাম মাহজবিন হাকিমি। চলতি মাসেই তিনি খুন হন। কিন্তু বিষয়টি যাতে প্রকাশ্যে না আসে, তার জন্য ওই ভলিবল খেলোয়াড়ের বাড়ির সদস্যদের হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। এমনটাই জানিয়েছেন দলের প্রশিক্ষক।
আফগানিস্তানে প্রাক তালিবানি শাসন আমলে কাবুল মিউনিসিপ্যালিটি ভলিবল ক্লাবে খেলতেন মাহজাবিন। ক্লাবের অন্যতম তারকা খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। ক’দিন আগে সেই মাহজবিনের গলা কাটা দেহের ছবি নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
আফগানিস্তানের মহিলা ভলিবল দলের প্রশিক্ষক জানান, তালিবান কাবুলের দখলের পর মাত্র দু’জন খেলোয়াড় দেশ ছেড়ে পালাতে পেরেছিলেন। মাহজবিন হাকিমি-সহ আরও অনেক খেলোয়াড়ই হাজার চেষ্টা করেও দেশ ছেড়ে যেতে পারেননি।
প্রথম থেকেই তালিবানদের নজরে রয়েছে মহিলা ক্রীড়াবিদরা। মহিলা ভলিবল টিম বিভিন্ন বিদেশি ও স্থানীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। তাদের সাফল্যের ছবিও সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
১৯৭৮ সালে প্রথম তৈরি হয় আফগানিস্তানের মহিলা ভলিবল দল। তারপর থেকে নারী মুক্তির পথে মহিলা ভলিবল খেলোয়াড়েরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। কিন্তু মাহজবিনের মৃত্যু তাতে বড়সড় প্রশ্ন চিহ্ন তুলে দিল।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।