Afghanistan Earthquake: মৃতের সংখ্যা ১০০০ ছাড়ালো, আহত প্রায় ১৫০০, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও আটকে বহু

এখনও মাটির নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন বহু মানুষ। ইসলামিক এমিরেটসের উদ্ধারকারী দল এসে পৌঁছেছে। তাঁরা স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মৃত ও আহতদের বের করে আনার চেষ্টা করছেন।
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িছবি সৌজন্যে - ট্যুইটার

ভয়াবহ ভূমিকম্পের জেরে আফগানিস্তানে মৃতের সংখ্যা ১০০০ ছাড়ালো। আহত হয়েছেন প্রায় ১৫০০-র বেশি। বুধবার ভোর রাতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তানের একাংশ। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.১।

সংবাদসংস্থা রয়টার্স এবং দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে এই ভূমিকম্পটি হয়েছে। যার জেরে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এই ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে সীমান্তবর্তী পাকিস্তানেও। ঐ এলাকার অনেক বাড়ি ভেঙে পড়েছে।

মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের তরফে জানা যাচ্ছে, ভূমিকম্পের প্রধান উৎসস্থল ছিল দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তানের খোস্ত শহর থেকে ৪৪ কিলোমিটার দূরে, ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫১ কিলোমিটার গভীরে। রাষ্ট্রসংঘের ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন অফিসের আধিকারিক লোরেটা হাইবার গিরার্ডেট বলেন, ভূমির প্রকৃতি ও আবহাওয়ার কারণে ত্রাণ সরবরাহ করতে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার কাজে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে।

পাশাপাশি তিনি বলেন, রাস্তাগুলোর অবস্থা খুব খারাপ। তাই ঐ এলাকাগুলিতে সহজে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। তার ওপর বৃষ্টির জন্য বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমেছে। সেই জন্যও ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, এখনও মাটির নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন বহু মানুষ। ইসলামিক এমিরেটসের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে। তাঁরা স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মৃতদেহ ও আহতদের উদ্ধার করার চেষ্টা করছেন। তুর্কির পররাষ্ট্র মন্ত্রক বুধবার জানিয়েছে, আফগানিস্তানে কাজ করা তুর্কি রেড ক্রিসেন্ট ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে। বৃহস্পতিবার তালিবানের এক মুখপাত্র বলেন, কাতার, ইরান ও পাকিস্তান থেকেও বিভিন্ন সহায়তা এসেছে। আকাশ ও সড়ক পথে ওষুধ, তাঁবু সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র এসেছে।

দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য আনুমানিক ১৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রয়োজন, এমনটাই দাবি করেছেন আলকবারভ (UN Deputy Special Representative for Afghanistan)। ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসি) এর মতে, ক্ষতির মূল্যায়নের সঠিক তথ্য এখনও মূল্যায়ন করা যায়নি। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে এবং খারাপ আবহাওয়া পরিস্থিতি পরিবহন ব্যবস্থাকে ব্যাহত করছে। উল্লেখ্য, এর আগে ২০০২ সালে কেঁপে উঠেছিল আফগানিস্তান। সেই সময় প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in