কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে তালিবানদের বেছে নেওয়া মোহম্মদ আশরাফ ঘায়রাত একবার সাংবাদিকদের হত্যা করতে বলেছিলেন। উপাচার্য হিসেবে তাঁর নিযুক্তিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। তাঁর পুরনো কিছু টুইট তুলে ধরছেন তাঁরা।
পাকিস্তানের ফ্রাইডে টাইমস জানাচ্ছে ঘায়রাতের কলেজের সহপাঠী বলে দাবি করা জনৈক আরিফ বাহরামির একটি ফেসবুক পোস্ট ঘুরে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বাহরামির দাবি, ঘায়রাত কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে সব সময়ে সহপাঠিনী ও অধ্যাপকদের অসম্মান করতেন। খুব সহজ বিষয়েও পাশ করতে পারতেন না ঘায়রাত বলে আরও দাবি জানিয়েছেন ওই সহপাঠী।
তবে ঘায়রাতের দাবি তাঁর যে সমালোচনা হচ্ছে তা অসংগত। তিনি সকলকে ঠান্ডা হয়ে তাঁর সম্পর্কে ও তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে অনুসন্ধান করতে বলেছেন। নিজের দাবির সমর্থনে তিনি ট্যুইটারে একাধিক পোষ্টও করেছেন। তাঁর দাবি তিনি ২০০৮ সালে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক হয়েছে এবং বিগত পনেরো বছর ধরে তিনি বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে যুক্ত থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন।
ঘায়রাত গত বছর জুন মাসে একটি টুইটে সাংবাদিকদের হত্যা করার কথা বলেছিলেন। যে ট্যুইট তিনি পরবর্তী সময়ে ডিলিট করে দেন।
আফগানিস্তানের প্রথম এবং সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিজ্ঞ, বুদ্ধিজীবী পিএইচডি ডিগ্রিধারীকে সরিয়ে ঘায়রাতের মতো কমবয়সী সাধারণ স্নাতককে উপাচার্যপদে বসানোয় সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
খামা প্রেস জানিয়েছে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বেশ কিছু তালিবানও এই নিয়োগের সমালোচনা করেছে। তারা বলেছে ঘায়রাতের থেকেও যোগ্যতাসম্পন্ন আরও অনেকে ছিলেন।
- with inputs from IANS
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।