
দীর্ঘ দুই দশক ধরে আফগানিস্তানে ঘাঁটি গেড়েছিল আমেরিকার ন্যাটোবাহিনী। ৩১ আগস্ট শেষ সেনাও সেদেশ ছেড়েছেন বলে দাবি করেছে মার্কিন প্রশাসন। তালিবানও নিজেদের স্বাধীন ঘোষণা করেছে। তবে এখনও সেদেশে রয়ে গেলেন প্রায় ১০০ জন আমেরিকান। আর তাদের ফেলে যাওয়া কোটি কোটি টাকার অস্ত্র দখল নিল তালিবান।
গত ১৫ আগস্ট থেকে ১ লক্ষ ২৩ হাজার জনকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়েছে আমেরিকা। নিজেদের সেনা ছাড়াও অন্য দেশের এবং আফগান নাগরিকদের উদ্ধার করেছে তারা। এই ২০ বছরে আফগানিস্তান যুদ্ধে নিহত হয়েছেন ২,৪০০ মার্কিন সেনা, প্রায় ১০ হাজার নাগরিক।
মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য জিম ব্যাঙ্কের দাবি, প্রায় ৮ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের অস্ত্র আফগানিস্তানে রয়ে গিয়েছে। প্রশাসনের গাফিলতির জন্যই এসব ঘটেছে। বিপুল পরিমাণ ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার এখন তালিবানের কব্জায়। পৃথিবীর ৮৫ শতাংশের বেশি দেশের হাতে যে সংখ্যায় এই বিশেষ হেলিকপ্টার আছে, তার থেকে বেশি আছে তালিবানের হাতে। এক অস্ত্র বিশেষজ্ঞের কথায়, বেশিরভাগ অস্ত্রই তালিবরা ব্যবহার করতে পারে না। হাতে এন–৪, একে–৪৭ নিয়ে ঘুরছে তারা। কিন্তু অস্ত্র চালনা নিয়ন্ত্রিত না করলে ভবিষ্যতে শান্তি নষ্ট হবে।
বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ কূটনীতিক, আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানান, এখনও আফগানিস্তানে প্রায় ১০০ জন মার্কিন সেনা রয়েছেন। বহু আফগান আশঙ্কায় ভুগছেন তাঁদের খুন করা হতে পারে বলে। কারণ তাঁরা আমেরিকাকে সাহায্য করেছিলেন। সোমবার এই মর্মে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ রেজোলিউশন পেশ করে জানিয়েছে, আগামী দিনে যেসব নাগরিক আফগানিস্তান ছাড়তে আগ্রহী, তাঁদের দেশত্যাগের অনুমতি দিতে হবে। পরবর্তী কালে কাবুল বিমানবন্দরের রক্ষণাবেক্ষণও নিজেরাই করবে বলে জানিয়েছে।
উড়ান চলাচল সংক্রান্ত পরিষেবার দিকটি দেখার জন্য তুরস্ককে এগিয়ে আসার অনুরোধ করা হয়েছে। তবে এই প্রসঙ্গে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তায়িপ এর্ডোগানের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে, ভবিষ্যতে কোন দেশ কাবুলে বিমান পরিষেবা দিতে রাজি হবে, তা নিয়েও।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন