কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে ব্রিটেনে। করোনাভাইরাস এর নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত হয়েছেন বহু মানুষ। সোমবার ব্রিটেনে নতুন করে এই স্ট্রেনে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬ হাজার জন। এর ফলে কপালে ভাঁজ পড়েছে সরকারের। নতুন করে ব্রিটেনে লকডাউন ঘোষণা করেছেন বরিস জনসন। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত এই লকডাউন চলবে বলে জানিয়েছেন বরিস জনসন।
লকডাউনের কারণে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হবে। বুধবার থেকে বিদ্যালয় বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। বরিস জনসন সোমবার সংবাদমাধ্যমের সামনে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেছেন মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে স্কটল্যান্ডেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ইংল্যান্ডের জনসংখ্যার প্রায় ৪৪ মিলিয়ন মানুষকে লকডাউনের কঠোর বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। তার অন্যতম কারণ মারণ ভাইরাস করোনায় মৃত্যুর হার অনেক বেশি ব্রিটেনে। তাই প্রথম থেকেই ব্রিটেনের জীবনযাপন অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত ছিল। কিন্তু তার পরেও সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমাতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। পাশাপাশি নতুন স্ট্রেন দেখা দিয়েছে।
সোমবার জনসন বলেছেন, ২৪ ঘন্টায় ২৭ হাজার জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। সংক্রমণের প্রথম ধাপের থেকেও ৪০ শতাংশ বেশি হারে সংক্রমণ বাড়ছে এখন। গত মঙ্গলবার ৮০ হাজারেরও বেশি সংক্রমিত হয়েছিলেন। তিনি আরো বলেছেন, ইতিমধ্যে দেশের বেশিরভাগ জায়গায় চরম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তাই ইংল্যান্ডে অবশ্যই জাতীয় লকডাউন ঘোষণা করা হচ্ছে।
মার্চ মাস থেকে জুন মাস পর্যন্ত চলা লকডাউনের সময় যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, নতুন লকডাউন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই সেই পদক্ষেপ কার্যকর করা হয়েছে। স্কুল গুলি বন্ধ করা হয়েছে, ওয়ার্ক ফ্রম হোম এর ব্যবস্থা করা হয়েছে, অতি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। স্কুলের প্রথম বড় পরীক্ষা গুলি কবে হবে সেই বিষয়ে শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
বরিস জনসন লকডাউন ঘোষণার আগেই ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের চার প্রধান মেডিকেল অফিসার বলেছিলেন দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে।
মার্চ মাসের আগে স্কুল খোলার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছেন বরিস জনসন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, করোনায় মৃত্যু কমে এলে, প্রতিষেধক ভালো কাজ দিলে তবেই ফেব্রুয়ারি মাসের পর স্কুল খুলবে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।