নিউইয়র্কে নীরব মোদীর ভাইয়ের বিরুদ্ধে বিশ্বের বৃহত্তম হীরে কোম্পানীর সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ

নেহাল মোদী
নেহাল মোদী ফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

নীরব মোদীর পর এবার তাঁর ভাই নেহাল দীপক মোদী। পিএনবি জালিয়াতিতে অভিযুক্ত পলাতক রত্ন ব্যবসায়ী নীরব মোদীর ভাই নেহাল মোদীর বিরুদ্ধে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম হীরে কোম্পানির সাথে প্রতারণার অভিযোগ উঠলো। নিউইয়র্কের এক প্রসিকিউটর তাঁর বিরুদ্ধে ২.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জালিয়াতির অভিযোগ এনেছেন।

নেহাল মোদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, এলএলডি ডায়মন্ডস ইউএসএ থেকে রত্ন সংগ্রহের জন্য একটি মাল্টিলেয়ার্ড স্কিমের "মিথ‍্যে উপস্থাপনা" করেছেন তিনি। শুক্রবার এক বিবৃতিতে ম‍্যানহাটন জেলার অ‍্যাটর্নি সি ভ‍্যান্স জুনিয়র বলেন, "নেহাল মোদীকে এখন নিউইয়র্ক সুপ্রিম কোর্টে স্পষ্ট অভিযোগের মুখোমুখি হতে হবে।"

বর্তমানে উত্তর বেলজিয়ামের একটি দ্বীপ এন্টওয়ার্পের বাসিন্দা নেহাল মোদী। পাঞ্জাব ন‍্যাশনাল ব‍্যাঙ্ক জালিয়াতি কান্ডের একটি মামলাতে ভাই নীরব মোদীর সাথে নেহাল মোদীও সিবিআইয়ের কাছে 'ওয়ান্টেড' ছিলেন। এই মামলায় ২৭ নম্বর অভিযুক্ত তিনি।

ম‍্যানহাটন জেলা অ‍্যাটর্নি অফিস থেকে ঘোষণা করা বিবৃতিতে নেহাল মোদীর অভিযোগ সম্পর্কে আরও বলা হয়েছে, এলএলডির কাছে এসে নেহাল মোদী দাবি করেছিলেন যে তিনি কোস্টকো হোলসেল কর্পোরেশনের সাথে যুক্ত এবং কস্টকোকে উপস্থাপনের জন্য ৮ লক্ষ ডলারের হীরে কিনতে চাইছেন।

পরে এলএলডির কাছে এসে মোদী আরও বলেন, কস্টকো চুক্তিতে রাজি হয়েছেন এবং তাদের কাছ থেকে ঋণে হীরে কিনতে রাজি হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে মে মাসের ‌মধ‍্যে তিনবার কস্টকোর নাম করে এলএলডির কাছ থেকে ১ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের হীরে কিনেছেন নেহাল মোদী। নিজের এই জালিয়াতি ঢাকতে তিনি মিথ‍্যা দাবি করেন যে 'কস্টকো ফুলফিলমেন্ট ত্রুটি'র কারণে ব‍্যালেন্স মেটাতে পারছেন না তিনি।

এলএলডি পরে এই জালিয়াতি বুঝতে পেরে অবিলম্বে হীরে ফেরত দেওয়া বা টাকা দেওয়ার দাবি তোলেন। কিন্তু ততদিনে নেহাল মোদী হীরে বিক্রি করে দিয়েছেন এবং অধিকাংশ অর্থই ব‍্যয় করে দিয়েছেন বলে জানা যায়। তখনই ম্যানহাটন জেলা অ্যাটর্নি অফিসে নেহাল মোদীর বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ জানায় এলএলডি।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in