গভীর খাদ্যসংকটের সামনে বিশ্বের বহু দেশ

ছবি প্রতীকী সংগৃহীত
ছবি প্রতীকী সংগৃহীত

ইয়েমেনের জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ ক্ষুধার্ত। ১.৫ মিলিয়ন পরিবার বেঁচে থাকার জন্য পুরোপুরি খাদ্য সহায়তার উপর নির্ভর করে এবং আরও এক মিলিয়ন মানুষ বছরের শেষের আগেই ক্ষুধার সংকটের মধ্যে পড়ে যাবেন বলে ইয়েমেনের এক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে।

এবিএস, ইয়েমেন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়েমেনের উত্তরে একটি শরণার্থী ক্যাম্পে দুটি যমজ ছেলেকে বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখা যায়। ছেলে দুটির কলারবোন ও হাড় ছাড়া আর কিছু দেখতে পাওয়া যা্চ্ছে না। তাদের চিৎকার করে কাঁদতে দেখা যায়, কোনও শারীরিক সমস্যার কারণে নয়, ক্ষিদের জ্বালায় তাদের কাঁদতে দেখা গিয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের আধিকারিকরা বিশ্বজুড়ে এই ক্ষুধা বৃদ্ধির সতর্কবাণী শুনিয়ে এসেছেন। আগামী দিনে এটিই বিশ্বের বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে চলেছে বলে জানানো হয়েছে।

রাষ্ট্রসঙ্ঘের সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্বের ২০ টি এমন দেশ রয়েছে যেখানে ২৫০ মিলিয়ন মানুষ অপুষ্টির শিকার হতে চলেছে আ্গামি মাসগুলোতে। ইয়েমেন, আফগানিস্তান, দক্ষিণ সুদান, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, কঙ্গো এবং বুরকিনা ফাসোর মতো ভয়াবহ অবস্থা দাঁড়িয়ে থাকা দেশগুলোকে ইতিমধ্যে ১০০ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সাহায্য করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের প্রধান ডেভিড বিসলি জানিয়েছেন, আরও বেশি ত্রাণ সাহায্যের প্রয়োজন। তা না হলে, ২০২১ এর মধ্যে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাবে সকলকে সাহায্য করা সম্ভব হবে না।

বহু দেশে আবার করোনা ভাইরাসের কারণে আরও বেশি সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আরও মানুষ এর ফলে দরিদ্র হয়ে পড়েছে। খাদ্যটুকু জোগাড় করাও তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। একইসময়ে আন্তর্জাতিক সাহায্যের পরিমাণও কমতে শুরু করেছে। যার ফলে মানুষের বেঁচে থাকার খাদ্য সংগ্রহ করাও দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in