

উত্তর-পূর্ব নাইজেরিয়ায় আনুমানিক ৪.৪ মিলিয়ন মানুষ, যার মধ্যে স্থানীয়ভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষরাও আছেন, তাঁরা প্রবল খাদ্য সংকটের মুখোমুখি। একথা জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ।
রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের উপ মুখপাত্র ফারহান হকের বক্তব্য উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা জিংহুয়া বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় কার্যালয় (ওসিএইচএ) সতর্ক করে দিয়েছে যে ৭ লক্ষ ৭৫ হাজার মানুষ ভয়াবহ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।
ফারহান হক জানিয়েছেন, "এটি গত চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা। কোভিডের কারণে চড়া দামে খাবার কেনা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ফলে বর্নো, আদামাওয়া এবং ইয়োবে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মানুষ নিজেদের জন্য খাবার জোগাড় করতে পারছেন না। উপযুক্ত তহবিল গঠন না করলে এই সঙ্কট মেটানো যাবে না।"
হকের বক্তব্য অনুসারে সাহেল অঞ্চলে মে থেকে আগস্ট, ফসলের সময়। যদিও এই বছর কম বৃষ্টিপাতের কারণে কৃষকের উৎপাদন কমেছে। যার ফলে পরবর্তী চাষের মরশুমের আগে খাদ্যের সংকট দেখা দিতে পারে।
তিনি বলেন, "আমাদের সহকর্মীরা আমাদের বলছেন যে নাইজেরিয়ায় ৮.৭ মিলিয়ন মানুষকে জরুরী ভিত্তিতে সহায়তা প্রয়োজন, যার মধ্যে ২.২ মিলিয়ন বাস্তুচ্যুত মানুষ রয়েছে।"
জাতিসংঘ এবং মানবিক অংশীদাররা উচ্চ সমস্যাসঙ্কুল এলাকায় খাদ্য বিতরণ বৃদ্ধির জন্য সরকার এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে কাজ করছে। কিন্তু এই স্বেচ্ছাসেবকদের লক্ষ্য করে ক্রমাগত আক্রমণ এই কাজকে কঠিন করে তুলেছে।
এই বছরের শুরুর দিকে হিংসার পুনরুত্থানের জন্য বোকো হারাম এবং অন্যান্য গোষ্ঠীকে দায়ী করা হয়।
নাইজেরিয়ার জন্য রাষ্ট্রসংঘের পরিকল্পনা ১ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে বেশি মূল্যের ফান্ড তৈরি করা। ওসিএইচএ জানিয়েছে এখনও পর্যন্ত এই অর্থের এক তৃতীয়াংশই জোগাড় করা গেছে।
- with inputs from IANS
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
