Afghanistan: তালিবানি দখলদারির ৪ দিন পর কাবুলের রাস্তাঘাট প্রায় মহিলাশূন্য, বন্ধ বিউটি পার্লার

তালিবান আছে তালিবানিতেই। কাবুলে দখলদারির চার দিন পর, আফগানিস্তানের রাজধানীর সমস্ত রাস্তা প্রায় পুরোপুরি মহিলাবিহীন হয়ে পড়েছে। দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক রিপোর্টে একথা জানা গেছে।
কাবুলে বন্ধ বিউটি পার্লার, ঢাকা হচ্ছে মহিলাদের ছবি
কাবুলে বন্ধ বিউটি পার্লার, ঢাকা হচ্ছে মহিলাদের ছবিছবি সোদাবার ট্যুইটার হ্যান্ডেলের সৌজন্যে

তালিবান আছে তালিবানিতেই। কাবুলে দখলদারির চার দিন পর, আফগানিস্তানের রাজধানীর সমস্ত রাস্তা প্রায় পুরোপুরি মহিলাশূন্য হয়ে পড়েছে। দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক রিপোর্টে একথা জানা গেছে।

রাস্তায় যে কয়েকজন মহিলাকে দেখা গেছে তাঁরা সকলেই ঐতিহ্যবাহী ইসলামী পোষাক নীল বোরখা পরিহিত, যা আফগানিস্তানে প্রচলিত হওয়া সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত কাবুলে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়না। মধ্যপ্রাচ্য এবং আরব দেশগুলোতে সাধারণভাবে মহিলারা লম্বা কালো কাপড়ের বোরখা পরেন।

সমস্ত মহিলাদের সাথে একজন পুরুষ থাকতে হবে – ইতিমধ্যেই তালিবানদের পক্ষ থেকে সারা দেশে মহিলাদের উপর এই ফতোয়া চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। বহু মহিলাই মুদি দোকানে কেনাকাটার জন্য বাইরে যেতেন; এই সহজ কাজই এখন তাদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।

এটা বিশ্বাস করা কঠিন যে মাত্র কয়েক দিন আগে, তালিবানরা আফগানিস্তানে ছড়িয়ে পড়ার পরও নিরাপত্তার ঝুঁকি নিয়েই কাবুলের রাস্তাঘাট মহিলারা তাদের কাজকর্মে বেরোচ্ছিলেন।

যদিও এখন, তারা দ্রুত এবং ভয়ে হাঁটাচলা করছেন। তাঁদের চোখ ক্রমাগত রাস্তায় টহল দেওয়া তালিবান বাহিনীর যেকোনো সম্ভাব্য আগ্রাসনের দিকে তাকিয়ে আছে।

আফগানিস্তানে তালিবানিদের দখলের পর থেকে সকল শিক্ষাকেন্দ্র, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি ভবন এবং বেসরকারি অফিস বন্ধ আছে।

শহরের রাস্তায়, কোন আইন বা নিরাপত্তা কর্মকর্তা নেই; নির্দেশ দেবার জন্য কোনো পুলিশ বা ট্রাফিক কর্তৃপক্ষ নেই। কাবুলের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, তিনি দেখেছেন যে তালিবানিরা দ্রুতগতিতে রাস্তার মাঝখানে চলমান যানবাহনের বিপরীতমুখী পথে গাড়ি চালাচ্ছে।

পোল এ শরখ, আফগানিস্তানের তরুণ ও শিক্ষিত প্রজন্মের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে বিখ্যাত এলাকা, এখন আর প্রাণবন্ত নয়। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রাস্তাঘাট, ফুটপাথ শুনসান। কিছু দুঃখী এবং হতাশাগ্রস্থ চেহারার মানুষ ছাড়া রাস্তায় কেউ নেই।

তাজ বেগম রেস্তোরাঁর মালিক লায়লা হায়দারি তার সোশ্যাল মিডিয়া পেজে লিখেছেন: "পৃথিবী আমাদের জন্য চিরতরে বদলে গেছে। তাজ বেগম আর নেই।" কাবুলের পতনের পর অনেক ব্যবসায়ী মহিলাদের মতো তিনিও তাঁর রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিয়েছেন।

কয়েকশ মিটার দূরে আরেকটি জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ, যা মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত ছিলো, তাও বন্ধ। কাবুলের যেসব রেস্তোরাঁ এবং ক্যাফে খোলা আছে সেখানে কোনো মহিলা কর্মচারী বা গ্রাহক নেই। শহর জুড়ে মহিলাদের সমস্ত বিউটি পার্লার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যদিও পুরুষদের সেলুন খোলা আছে।

- with inputs from IANS

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in