

লিবিয়ার বন্যায় মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। একাধিক আন্তর্জাতিক মিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ২০,০০০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানির খবর পাওয়া গিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে বহু। প্রায় সমগ্র দরনা শহরটি বিদ্যুতবিচ্ছিন্ন রয়েছে।
গত সপ্তাহে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল লিবিয়ার দরনা শহরে। একদিকে বন্যা এবং অন্যদিকে বিধ্বংসী ঝড় 'ড্যানিয়েলে'র কবলে শহরের একের পর এক ইমারত ভেঙে পড়েছে। যত উদ্ধারকাজ এগোচ্ছে তত মৃতের সংখ্যা বাড়চ্ছে। সূত্রের খবর, ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। প্রায় ৫০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।
ত্রিপোলির এক সরকারি আধিকারিক জানান, '৬১৪২টি বিল্ডিং-র মধ্যে প্রায় ১৫০০ বিলডিং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ৯০০টি বিল্ডিং সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে। ২০০টি বিল্ডিং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রায় ৪০০টি বিল্ডিং কাদায় ঢাকা পড়েছে'।
আহতদের দারনা থেকে ১০০ কিমি পশ্চিমে অবস্থিত আল বায়দা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানকার চিকিৎসকরা রীতিমতো লড়াই চালাচ্ছেন। কারণ দারনার হাসপাতালগুলি বন্যা এবং ঝড়ের কবলে পড়ে ধ্বংস হয়েছে। আবার গ্রীক থেকে আসা উদ্ধারকারী দলের মধ্যে পাঁচ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে বলে গ্রীক পররাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর। পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন।
মূলত দারনার দুটি নদী বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণেই এই বিপর্যয়। আবু মনসুর এবং দারনা বাঁধ দুটি নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৭০ সালে। যুগোস্লাভ এক সংস্থা দুই বাঁধ নির্মাণ করেছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে বহুদিন ধরে বাঁধ দুটি সংস্কারের কাজ হয়নি। এর আগেও বন্যা হয়েছিল কিন্তু প্রশাসনের তরফ থেকে কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন