Palestine Israel Conflict: ইজরায়েল- প্যালেস্টাইন দ্বন্দ্বে মৃত কমপক্ষে ১৫০০
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষত পুরোপুরি সেরে ওঠার আগেই এবার মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছে। ফের সম্মুখসমরে জড়িয়েছে ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইন। শনিবার সাত-সকালে প্যালেস্তাইনের সামরিক গোষ্ঠী ‘হামাস’ গাজা স্ট্রিপ থেকে ইজরায়েলের উদ্দেশে মাত্র ২০ মিনিটের ব্যবধানে প্রায় ৫ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালে ইজরায়েল সরকারও প্যালেস্তাইনের বিরুদ্ধে পাল্টা যুদ্ধের ডাক দেয়। গাজা থেকে সীমান্ত পার করে ইজরায়েলে অনুপ্রবেশকারী হামাস গোষ্ঠীর সেনার সঙ্গে ইজরায়েল সেনার গত কয়েকদিনের সংঘর্ষে প্রায় দেড় হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (IDF) এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, ইজরায়েল সীমান্তের অন্দরে হামাস গোষ্ঠীর অন্ততপক্ষে ১৫০০ সেনার মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। গত ৭ অক্টোবর হামাস গোষ্ঠীর বেনজির হামলার পর দুই পক্ষের লড়াইয়ে ওই দেড় হাজার সেনা মারা গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
পাশাপাশি, এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, শনির সকালে হামাস গোষ্ঠীর হামলার পর থেকে ইজরায়েলের ১২৩ জন সেনা-সহ প্রায় ১০০০ জনের বেশি ইজরায়েলি প্রাণ হারিয়েছেন।
ইজরায়েল সেনা সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ইজরায়েল থেকে প্রায় ২০০টিরও বেশি যুদ্ধবিমান গাজায় ঢুকে বোমা হামলা চালিয়েছে। রাতারাতি কার্যত ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে গাজার দুটি ঘনজনবসতিপূর্ণ এলাকা রিমাল ও খান ইউনুস। তার মধ্যে বিশেষ করে হামলা চালানো হয়েছে খান ইউনুসের একটি ইসলামিক জিহাদ সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো, হামাস গোষ্ঠীর সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে ব্যবহৃত পরিকাঠামোয়। পাশাপাশি, খান ইউনুসের একটি মসজিদের ভিতরে থাকা হামাসের একটি অস্ত্রঘাঁটিতেও বোমা হামলা চালানো হয়েছে IDF-এর তরফে।
মঙ্গলবার সকালে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস-এর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিচার্ড হেক্ট জানিয়েছেন, “দক্ষিণ দিকে এগিয়ে আমরা গাজার কমবেশি সীমান্তের উপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছি। আগামী কয়েকঘণ্টার মধ্যে বাকি সীমান্তেও নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে পারব আশা করি।”
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে রিচার্ড জানিয়েছেন, “আপাতত গাজা স্ট্রিপে যুদ্ধবিমানের মাধ্যমে হামলা চালিয়ে যাওয়াই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।” IDF ইজরায়েল সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে ইতিমধ্যেই তাঁদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ প্রায় শেষ করেছে বলেও জানিয়েছেন ওই সেনাকর্তা।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।