

এখন থেকে মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি সংবাদমাধ্যমের কোনো বিতর্কে অংশ নেবে না। শনিবার এক ট্যুইট বার্তায় একথা জানিয়েছেন বিএসপি সুপ্রীমো মায়াবতী। শুক্রবার তিনি জানিয়েছিলেন, সংবাদমাধ্যম উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের সময় বিএসপিকে বিজেপির বি-টিম হিসেবে তুলে ধরেছে। যে প্রচারের ফলে বিএসপি-র ভোট ব্যাঙ্কে ধস নেমেছে।
সাম্প্রতিক উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বিএসপি মাত্র ১টি আসনে জয়ী হয়েছে। যা এযাবৎকালে মায়াবতীর দলের সবথেকে খারাপ পারফরমেন্স। ২০১৭ সালের নির্বাচনের তুলনায় এবার মায়াবতীর দলের ভোট শতাংশও অনেকই কমেছে। এবার বিএসপি পেয়েছে ১২.৯ শতাংশ ভোট। মোট বৈধ ভোটের মধ্যে বিএসপি-র প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ১ কোটি ১৮ লক্ষ ৭৩ হাজার ১৩৭। ২০১৭-র নির্বাচনে মায়াবতীর বিএসপি ভোট পেয়েছিলো ২২.২৩ শতাংশ। সেবার মোট বৈধ ভোটের মধ্যে বিএসপি-র প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ছিলো ১ কোটি ৯২ লক্ষ ৮১ হাজার ৩৪০।
মায়াবতীর আরও অভিযোগ, নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম একাধিক জাতপাতের ইস্যুর পক্ষে প্রচার চালিয়েছে। যার ফলে এবারের নির্বাচনে বিএসপি-র সম্ভাবনা কমেছে। এই কারণেই এখন থেকে সমস্ত টিভি বিতর্ক বয়কট করছে বিএসপি।
এদিনের ট্যুইটে মায়াবতী জানিয়েছেন, ইউপি বিধানসভা নির্বাচনের সময়, মিডিয়া তাদের মালিকদের নির্দেশে জাতিগত বিদ্বেষ ও বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব অবলম্বন করে আম্বেদকরবাদী বিএসপি আন্দোলনের ক্ষতি করার জন্য যে কাজ করেছে তা কারও কাছে গোপন নেই। এ অবস্থায় দলের মুখপাত্রদেরও নতুন দায়িত্ব দেওয়া হবে।
এখন থেকে দলের সমস্ত মুখপাত্র, শ্রী সুধীন্দ্র ভাদৌরিয়া, শ্রী ধরমবীর চৌধুরী, ড. এম এইচ খান, জনাব ফাইজান খান এবং শ্রীমতি সীমা কুশওয়াহা আর টিভি বিতর্ক ইত্যাদিতে অংশ নেবেন না।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন