

আগামী বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে প্রচার করতে গিয়েছিলেন নিজের কেন্দ্রেই। আর সেখানে গিয়ে চরম বিরোধিতার মুখোমুখি হলেন বিজেপি বিধায়ক। উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরের ঘটনা। উন্নয়ন হয়নি, এই অভিযোগ তুলে গ্রামবাসীরা তাড়া করলেন বিধায়ক বিক্রম সিংহ সৈনীকে। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখালেন।
প্রসঙ্গত, আগামী মাসেই ভোট উত্তরপ্রদেশে। তার পুরোদস্তুর দামামা বাজতে শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশে। প্রার্থীরা জোরকদমে প্রচারও শুরু করে দিয়েছেন। খাটাউলির ওই বিজেপি বিধায়ক বুধবার একটি সভা করতে গিয়েছিলেন তাঁর নিজেরই বিধানসভা ক্ষেত্র মনব্বরপুর গ্রামে। সেখানে তিনি পৌঁছতেই গ্রামবাসীদের ক্ষোভের আঁচ পড়ে তাঁর উপর। পরিস্থিতি ক্রমে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শেষমেশ পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে সভা না করেই সেখান থেকে চলে যান যিনি।
এই বিধানসভা কেন্দ্রে মূলত কৃষকরাই থাকেন। গত পাঁচ বছর ধরে কোনও উন্নয়ন হয়নি। এই অভিযোগ তো ছিলই। পাশাপাশি কেন্দ্রের কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের মধ্যে একটা ক্ষোভ ছিলই। বুধবার বিধায়ককে দেখে সেই ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে।
বিক্রমের অবশ্য দাবি, গ্রামের একটি স্কুলে কয়েকজন মদ্যপান করছিলেন। তিনি তার প্রতিবাদ করেন। এরপরই তাঁকে পালটা বিরোধিতার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। যাঁরা বিরোধিতা করে স্লোগান দিয়েছেন তাঁরা বিরোধী জোটের সদস্য-সমর্থক।
ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে ঘটনার ভিডিও। তাতে দেখা গিয়েছে, বিক্রম গাড়ি থেকে নামতে গিয়ে বিরোধিতার মুখে পড়েন। পরিস্থিতি প্রতিকূল দেখে তিনি হাতজোড় করে মিনতিও করেন। তারপরেই চলে যান।
এই বিজেপি নেতা এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছেন। একবার বলেছিলেন, 'আমাদের দেশের নাম হিন্দুস্তান, অর্থাৎ এটা হিন্দুদেরই দেশ।’ ২০১৯ সালে তিনি বলেছিলেন, যাঁরা ভারতে নিরাপদ অনুভব করেন না, তাঁদের বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে। হুমকিও দিয়েছিলেন যে, যাঁরা গোহত্যা করছেন, তাঁদের পা ভেঙে দেওয়া হবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন