

লোকসভা নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই। তাই ২৩ জানুয়ারী অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেই লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করতে চলছে মহারাষ্ট্রের বিভক্ত শিবসেনা গোষ্ঠীর নেতা উদ্ধব ঠাকরে। জানা গেছে উদ্ধব ঠাকরে মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে লোকসভা ভোটের প্রচারের যাত্রা শুরু করতে চলেছেন।
২৩ জানুয়ারি তারিখ বেছে নেওয়ার এক বিশেষ কারণ রয়েছে। ওই দিন শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা তথা উদ্ধব ঠাকরের বাবা বালা সাহেব ঠাকরের জন্মদিন (২৩ জানুয়ারি, ১৯২৬–১৭ নভেম্বর, ২০১২)। যিনি মারাঠি-মানুষদের জন্য ১৯৬৬ সালের ১৯ জুন শিবসেনা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
পাশাপাশি, আগামীকাল অর্থাৎ ২৩ জানুয়ারী নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুরও জন্মদিন। তাই এই বিশেষ দিনটিকেই বেছে নিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে বলে জানা গেছে।
আজ সোমবার অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়েছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেন। আর তার ঠিক পরেরদিনই উদ্ধব ঠাকরে নির্বাচনী প্রচার শুরু করার পরিকল্পনা করেছেন।
২০২২ সালে ২১ জুন ঠাকরের হাত ছেড়ে অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে বিজেপির সহায়তায় মহারাষ্ট্র সরকারের সিংহাসনে বসেন বিক্ষুব্ধ শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে। শিন্ডের বিজেপি-সমর্থিত সরকারের দুইজন উপ-মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন - প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীস এবং এনসিপির বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা অজিত পাওয়ার, যিনি আগেও পাঁচবার উপ-মুখ্যমন্ত্রী থেকেছেন এবং বিধানসভার বিরোধী নেতাও ছিলেন। প্রসঙ্গত, শিন্ডেও একসময় বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা ছিলেন।
এরপর ২০২৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারী নির্বাচন কমিশন শিন্ডে-গোষ্ঠীকে আসল শিবসেনা হিসাবে বৈধতা দেয় এবং তীর-ধনুক প্রতীক বরাদ্দ করে। তারপরে ১১ মে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে উদ্ধবের অবস্থান পুনরুদ্ধার করা যাবে না। কারণ তিনি আস্থা পরীক্ষার আগেই পদত্যাগ করেছিলেন। ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারী মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকারও শিন্ডের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীকে আসল শিবসেনা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন।
শিবসেনা (UBT) মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস এবং শারদ পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি-র সাথে জোটে রয়েছে, যা মহা বিকাশ আঘাদি জোট নামে পরিচিত।
২০১৪ ও ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সাথে জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই করে ১৮ টি আসন জিতেছিল শিবসেনা।
২০১৯ সালের বিধানসভা ভোটের পরে, বিজেপি এবং শিবসেনার প্রায় ৩০ বছরের পুরনো জোট ভেঙে যায়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন