
ত্রিপুরায় পুর নির্বাচন স্থগিত করতে রাজী নয় শীর্ষ আদালত। এদিন শীর্ষ আদালত জানায় – নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। আজই বিকেল সাড়ে চারটেয় নির্বাচনী প্রচার শেষ হবে। ২৫ তারিখ ভোট এবং ৪ ডিসেম্বর গণনা। এই অবস্থায় নির্বাচন বাতিল করা এক চূড়ান্ত পদক্ষেপ হয়ে যাবে। আমাদের মত অনুসারে নির্বাচন স্থগিত করার বদলে, পুরসভা নির্বাচনের অবশিষ্ট পর্যায়গুলি যাতে শান্তিপূর্ণ এবং সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হয় তা নিশ্চিত করার জন্য ত্রিপুরা সরকারকে নির্দেশ জারি করে টিএমসি যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তা যথাযথভাবে সমাধান করা যেতে পারে।
এদিন শীর্ষ আদালত আরও জানায় - "বর্তমানে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে তাতে রাজ্যে সিআরপিএফের ৩টি ব্যাটালিয়নকে দায়িত্ব পালনের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। ৭৮টি বিভাগ নিয়ে গঠিত ১৭টি কোম্পানীকে নির্বাচনী দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আরও ১২টি সেকশনকে এর সঙ্গে যুক্ত করা হবে। অর্থাৎ রাজ্যে মোতায়েন করা সিআরপিএফের ৩ ব্যাটালিয়ন ছাড়াও, আরও প্রায় ২ ব্যাটালিয়ন বাহিনী নির্বাচনের জন্য মোতায়েন করা হচ্ছে।"
উল্লেখ্য, পুরসভা নির্বাচনের আগে লাগাতার হিংসায় উত্তপ্ত ত্রিপুরা। সমস্ত অভিযোগের তীর শাসক বিজেপির দিকে। যা নিয়ে আজ সকালে শীর্ষ আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে ত্রিপুরা সরকার। অবাধ ও সুষ্ঠু পৌরসভা নির্বাচন নিশ্চিত করতে এবং ফলপ্রকাশ পর্যন্ত নিরাপত্তার জন্য রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চায় আদালত।
আগামী ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরায় পুরসভা নির্বাচন। নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির তত অবনতি হচ্ছে। বিরোধীদের ওপর আক্রমণ বাড়ছে। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল। আজ সেই মামলার শুনানিতে এই রিপোর্ট চেয়েছেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। আজই নির্বাচনী প্রচারে শেষ দিন। আজ দুপুর ১২.৪৫-এর মধ্যে বিপ্লব দেবের সরকারকে আদালতে এই রিপোর্ট জমা দেবার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে বিরোধীদের ওপর আক্রমণের অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব। সেই মামলায় গত ১১ নভেম্বর ত্রিপুরা পুলিশকে অবাধ ও সুষ্ঠু পুরসভা নির্বাচন নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। রাজনৈতিক দলগুলো যেন শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনের প্রচার করতে পারে তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু এরপরও বিরোধীদের ওপর একাধিকবার আক্রমণ হয়েছে। গত রবিবার তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষকে 'হিট অ্যান্ড রান'-এর অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় থানার ভিতরে ঢুকে অন্যান্য তৃণমূল নেতানেত্রীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এরপরই আদালত অবমাননার অভিযোগে ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন