

নির্বাচনের দিনই পর পর বিস্ফোরণ ছত্তিশগড়ে। বিশেষ করে মাওবাদী অধ্যুষিত অঞ্চলে এই হামলা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টা নাগাদ বিস্ফোরণ হয় ছত্তিশগড়ের সুকমায়। ফের বেলা ১২টা নাগাদ একই জায়গায় বিস্ফোরণ হয়। গোটা ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠছে নকশালদের দিকে।
আজ দেশের দুই রাজ্য মিজোরাম এবং ছত্তিশগড়ে বিধানসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে। মিজোরামে একদফায় ভোট হলেও ৯০ আসন বিশিষ্ট ছত্তিশগড়ে দু'দফায় নির্বাচন হচ্ছে। আজ প্রথম দফার পর ১৭ নভেম্বর রয়েছে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। কিন্তু আজ সকালেই নির্বাচন চলাকালীন বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে সুকমা। আহত হন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। গোটা এলাকা রীতিমতো থমথমে। আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে ওঠার আগেই ফের বিস্ফোরণ হয় ওই অঞ্চলে।
ছত্তিশগড়ে মোট বিধানসভার আসন ৯০টি। যার মধ্যে ২০টি বিধানসভার আসনে নির্বাচন হচ্ছে। ওই ২০টি বিধানসভাই মাওবাদী অধ্যুষিত। প্রাথমিক ভাবে সমস্ত ঘটনার সাথে নকশালপন্থীদের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, কয়েকটি এলাকা বাদ দিয়ে ছত্তিশগড়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনই হচ্ছে। দুপুর ১টা পর্যন্ত ৪৪.৫৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। যার মধ্যে সব থেকে বেশি ভোট পড়েছে ভাণুপ্রতাপপুরে। সেখানে পড়েছে ৬১.৮৩ শতাংশ। কানকেরে পড়েছে ৬১.৮ শতাংশ। অন্তগড়ে পড়েছে ৫৫.৬৫ শতাংশ। কন্ডোগাঁওতে পড়েছে ৫৪.০৪ শতাংশ। কেশকলে পড়েছে ৫২.৬৬ শতাংশ। খুজ্জিতে ভোট পড়েছে ৪৬.৬৭ শতাংশ। ৪৫.৮১ শতাংশ ভোট পড়েছে জগদ্দলপুর। এছাড়া অন্যান্য আসনগুলিতেও ৩৫-৪৫ শতাংশের মধ্যে ভোট পড়েছে। সব থেকে কম ভোট পড়েছে বিজাপুরে। মাত্র ২০.০৯ শতাংশ। তারপরেই আছে কনটা। সেখানে পড়েছে ৩০.২৭ শতাংশ ভোট।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন