

আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। প্রথম দফায় ভোট হবে উত্তরবঙ্গের তিন আসন – জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে। ভোট আসতেই কোচবিহারবাসীদের কাছে টাটকা হয়ে উঠছে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে শীতলকুচির কাণ্ড। সমস্ত দিক বিবেচনা করে বৃহস্পতিবার কোচবিহার যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ভোটের দিন সেখানেই থাকবেন তিনি। রাজভবন সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যেয় তাঁর ফেরার কথা।
কিন্তু রাজ্যপালের কোচবিহার সফর বাতিলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। কারণ এই সময় যদি কোচবিহার যান রাজ্যপাল তা আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘনের আওতায় পড়বে।
কমিশনের নিয়মানুযায়ী, ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার বন্ধ করে দিতে হয় প্রার্থীদের। এরপর সমস্ত ভিআইপি, নেতা এবং রাজনৈতিক কর্মী যারা সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ভোটার নন, তাদের চলে যেতে হবে ওই এলাকা ছেড়ে।
এটি শুধুমাত্র অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য নয়। বরং নিরাপত্তা বাহিনীর উপর কোন অতিরিক্ত কাজের চাপ যাতে না থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য। তাই ভোটের সময় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে কোচবিহারে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফ থেকে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তারপর বেশ কয়েকবছর কেটে গেলেও সেই স্মৃতি কেউ ভোলে নি। এদিকে কোচবিহার মানেই একদিকে নিশীথ প্রামাণিক অন্যদিকে উদয়ন গুহের লড়াই। সব মিলিয়ে প্রথম থেকেই নির্বাচন কমিশনের বাড়তি নজর কোচবিহারের দিকে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন