

আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সরব হল আপ-এর শিক্ষক সংগঠন এএডিটিএ (AADTA)। যা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছে ওই সংগঠন। ইউজিসির নির্দেশের পরেও বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনপ্রাপ্ত কলেজগুলির ওয়েবসাইটে মোদী ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের ছবি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
হংসরাজ কলেজ এবং নন-কলেজিয়েট উইমেনস এডুকেশন বোর্ড সহ একাধিক কলেজের ওয়েব সাইটে রাজনৈতিক নেতাদের ছবি থাকা নিয়ে আপত্তি জানায় আপ শিক্ষক সংগঠন। সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া। 'বিকশিত ভারত' নামক বিজ্ঞাপনটিও বন্ধ করতে হবে। কারণ নির্বাচনী ইশতেহারে বিকশিত ভারতকে ভোট প্রচারের অংশ হিসেবে ব্যবহার করছে বিজেপি।
উল্লেখ্য, বিজেপির ইশতেহারের ৬ নম্বর পাতায় বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা জনগণের কাছে আবেদন করে বলছেন, ভোট দিন এবং বিকশিত ভারত গড়ে তোলার জন্য সমর্থন করুন। এছাড়া ৪০ নম্বর পাতায় লেখা আছে, আগামী ৫ বছরে এমন কাজ করবো যাতে ২০৪৭ সালের মধ্যে আমরা আমাদের দেশকে বিকশিত ভারতের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।
ইউজিসি চেয়ারম্যান এম জগদেশ কুমার আপ-এর অভিযোগ প্রসঙ্গে জানান, নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে শিক্ষা মন্ত্রককে দেওয়া চিঠির ভিত্তিতে সমস্ত কলেজগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যাতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে সকলে মান্যতা দেয়। দেশে বর্তমানে আদর্শ আচরণবিধি জারি রয়েছে। আমাদের সকলের উচিত সমস্ত নিয়ম অনুসরণ করা।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন