টিকিট পাননি লোকসভা নির্বাচনে। আসন্ন মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনেও তাঁকে প্রার্থী করা হয়নি। দলের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বোরিভালি থেকে নির্দল প্রার্থী হয়ে নির্বাচন লড়ার কথা জানালেন বিজেপি নেতা গোপাল শেট্টি।
এই বিষয়ে গোপাল শেট্টি এক সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, “বহিরাগতদের প্রার্থী করা - এই ঐতিহ্যের বিরোধিতা করা প্রয়োজন। তাই আমি বোরিভালিতে নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়ব। যায় ঘটুক না কেন, আমি পিছিয়ে যাব না।“
গোপাল শেট্টি মুম্বাই বিজেপির অন্যতম বড় নেতা। ২০০৪ সাল থেকে টানা দশ বছর বোরিভালির বিধায়ক ছিলেন গোপাল শেট্টি। এরপর ২০১৪ সালে মুম্বাই নর্থ থেকে লোকসভার প্রার্থী হন গোপাল শেট্টি। জয়ী হন। এরপর ২০১৯ সালেও ওই কেন্দ্র থেকে জিতে সাংসদ হন তিনি। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দল থেকে প্রার্থী করা হয়নি তাঁকে। তাঁর বদলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীয়ূষ গোয়েলকে প্রার্থী করা হয়েছিল। আর আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনেও তাঁকে প্রার্থী করেনি বিজেপি। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বোরিভালিতে বিজেপি প্রার্থী করেছে সঞ্জয় উপাধ্যায়কে। দলের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ তিনি।
গোপাল শেট্টি জানিয়েছেন, "বিজেপি কর্মীরা মনে করেন আমার এখান থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত। এমনকি অন্যান্য দলও মনে করে আমার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত। এমনকি বোরিভলির মানুষ আমাকে বলেছে, যা হচ্ছে তার সংশোধন না করলে, কেউ কখনও ভুলের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহস করবে না। তাই আমি এই ভুল সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই করব। আমি বিজেপি এবং দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে সমর্থন করি।“
প্রসঙ্গত, মুম্বাইয়ের বোরিভালিকে বিজেপির অন্যতম গড় হিসাবে ধরা হয়। ১৯৯০ সাল থেকে ওই কেন্দ্রে জিতে আসছে বিজেপি। তার আগে ওই আসনে জয়ী হত জনতা পার্টি।
আগামী ১৩ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের ২৮৮ টি আসনে এক দফায় বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। আগামী ২৩ নভেম্বর ভোটের ফলাফল।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন