

রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের কয়েকমাস আগেই পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। শনিবার বিকেলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি তাঁর ইস্তফার কথা জানান। এর আগে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল বনোয়ারিলাল পুরোহিতের কাছে তিনি তাঁর ইস্তফাপত্র জমা দেন। তাঁর ইস্তফার আগেই তাঁর ছেলে এক ট্যুইট বার্তায় অমরিন্দর সিং-এর ইস্তফার কথা জানিয়েছিলেন। যদিও ইস্তফার পরে তিনি কংগ্রেসেই থাকবেন অথবা দলবদল করবেন তা এখনও জানা যায়নি।
বেশ কিছুদিন ধরেই অভ্যন্তরীণ গোলযোগ চলছিলো পাঞ্জাব কংগ্রেসের অভ্যন্তরে। বিশেষ করে নভজ্যোত সিং সিধুকে পাঞ্জাব কংগ্রেসের দায়িত্ব দেবার পরেই দ্রুত অবস্থার অবনতি হয়। তবে অমরিন্দর সিং-এর ইস্তফার পর পাঞ্জাব কংগ্রেসের অবস্থা কী হবে তা আদৌ স্পষ্ট নয়।
এদিন সকালে সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে অমরিন্দর সিং ঘনিষ্ঠ মহল থেকে জানানো হয়, তিনি সকালেই সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং জানিয়েছেন তিনি অপমানিত বোধ করছেন এবং দল থেকে ইস্তফা দিতে চান। অন্য এক সূত্র অনুসারে, কংগ্রেস হাইকম্যান্ড অমরিন্দর সিংকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছে।
গতকাল রাত থেকেই পাঞ্জাব কংগ্রেসের ঘরোয়া কোন্দল নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। রাত ১১.৪২ মিনিটে এক ট্যুইট বার্তার মাধ্যমে শনিবার বিধায়কদলের জরুরি বৈঠক ডাকেন হরিশ রাওয়াত। এর ঠিক ১০ মিনিট পরেই হরিশ রাওয়াতের ট্যুইট রিট্যুইট করে সমস্ত বিধায়ককে ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেন পাঞ্জাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিং সিধু। সেই বৈঠকের আগেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অমরিন্দর সিং।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের কংগ্রেস বিধায়কদের বড়ো অংশই ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং-এর অনাস্থা জানানোয় এবং মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে তাঁর অপসারণ চাইবার পর জরুরি ভিত্তিতে আজকের বৈঠক ডাকা হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন